বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
মোংলা প্রতিনিধি: মোংলা বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য সংখ্যালঘু একটি হিন্দু পরিবারকে সদস্যদের মেরে রক্তাক্ত জখম করেছে একদল সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চিলা ইউনিয়নের গোলেরডাঙ্গা এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার এ ঘটনা ঘটে। এসময় সন্তান সম্ভাবা এক গৃহবধু ও শিশুসহ ৫জন জখম হয়েছে। তাদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনিয়ে থানায় অভিযোগ দিলেও এখনও কাউকে আটক করতে পারেনী পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
থানার অভিযোগ সুত্রে ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, চিলা ইউনিয়নের গোলেরডাঙ্গা গ্রামের অসহায় একটি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের একটি বসতভিটা উপর চোখ পরে পার্শবর্তী বাশতলা গ্রামের প্রভাবশালী আঃ ছালামের। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ওই জমিটুকু তার আয়াত্বে নেয়ার জন্য প্রতিবেশীদের যোগসাজসে বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র করে আসছিল। শুক্রবার সকালে অনিল বালা ও তার পরিবারের লোকজন বসত বাড়ীতে ঘেরাবেড়া দিতে গেলে প্রবাবশালী আঃ ছালাম ও কৃষ্ণ মন্ডলসহ তাদের একদল ভাড়াকরা সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অসহায় অনিল বালার পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে অন্তঃসত্তা গৃহবধু সুমিতা বালা, অনিল বালা, মায়া বালা, সরলা গোলদার, শিশু পুটু গোলদার ও শংঙ্কর গোলদারসহ ৭জন গুরুতর আহত হয়েছে। এসময় তাদের আত্ন চিৎকারের এলাকবাসী এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে। তবে অন্তঃসত্তা গৃহবধু সুমিতা বালা ও অনিল বালার অবস্থা গুরুতর। ২৪ ঘন্টা চিকিৎসার পর অবস্থা অবনতি হলে এ দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হতে পারে বলেও জানায় কতব্যরত ডাঃ মলয় বিশ্বাস। হামলার ঘটনার পর পরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মোংলা থানা পুলিশ। দুপুরে গৃহবধুর স্বামী ধনপতি বালা বাদী হয়ে বাশতলা এলাকার প্রভাবশালী আঃ ছালাম, কুষ্ণপদ মন্ডল, ইউনুস, দিপ্ত মন্ডল, সবুজ মন্ডল, মিনা বিশ্বাস, লিলা বিশ্বাস, আজিজুল শেখ, এমাদুল ও রাজু সহ ১১জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে এখও অভিযুক্ত কাউকেই আটক করতে পারেনী পুলিশ। এব্যাপারে মোংলা থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ জাহাঙ্গির হোসেন জানান, হিন্দু সম্প্রদয়ের উপর হামলার ঘটনার শোনার সাথে সাথে সেখানে যাওয়া হয়েছে এবং হামলার স্বীকার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানায় এ কর্মকর্তা।