তুহিন ভূঁইয়া: বর্তমান করোনাকালিন সময়ে কঠিন বাস্তবতার স্বীকার মধ্যবিত্ত্ব সম্প্রদায়। বর্তমান সময়ে ধনী পরিবারগুলো তাদের জমানো অর্থ সম্পদ থেকে খরচ করে আর নিম্নবিত্ত্বরা সরকার আর ধনীদের সাহায্য সহযোগীতায় কোনোমতে বেঁচে থাকলেও সবচেয়ে বিপাকে পরেছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। এরা না-পারে মুখে বলতে, না-পারে ক্ষুদার জ্বালা সইতে। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সাধারণ সময়গুলোতে খুব কাটায় কাটায় হিসেব করে জীবন চালায়। মাসিক আয়ের উপর নির্ভর করে এদের ব্যায় করতে হয়। মাস শেষে এদের উদ্বৃত্ত তেমন অর্থ থাকে না বললেই চলে। এরা সাধারণত কাউকে সাহায্য করতে না-পারলেও কারো কাছে হাত পাততে পারে না। খুব সাদামাটা আর করায়-গণ্ডায় হিসেব করেই জীবন পরিচালনা করে। কিন্তু করোনার কারণে দীর্ঘ সময় ঘরে থাকায় অনেকেই পরেছে চরম বিপাকে।
মধ্যবিত্ত পরিবারে যারা বেসরকারী সেক্টরে কাজ করে এবং মাঝারি ব্যবসা করে জীবিকা অর্জন করতো তাদের জীবন আজ দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। কারণ অনেক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গত দুই-তিন মাস ধরে বেতন দিতে পারছে না। অন্যদিকে মাঝারি ব্যবসাও বন্ধ রয়েছে গত কয়েক মাস ধরে। এই সংকটকালীন সময়ে দিসেহারা হয়ে পরেছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। সরকার বিভিন্ন প্রনোদনা আর সাহায্য-সহযোগীতা দিলেও মধ্যবিত্ত্ব শ্রেণিরা রাজনৈতিক নেতাদের থেকে দূরে থাকার কারণে এসব থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উচ্চবিত্তরা সুবিধা ভোগ করে আর নিম্নবিত্তরা তাদের একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে সেই সুযোগ প্রদান করে। কিন্তু মধ্যবিত্তরা এই অসৎ রাজনীতি থেকে সবসময় দূরে থাকে। মধ্যবিত্তরা চাইলেও ত্রাণের জন্য এসব অসৎ নেতাদের পিছনে দিনের পর দিন ঘুর ঘুর করতে পারে না। এসব নেতাদের আসে-পাশে ভীর করা থাকে নিম্নবিত্ত চামচারা। অনেক ক্ষেত্রে নেতার থেকেও এসব চামচাদের দাপট থাকে কয়েকগুণ বেশী। তাই সরকারের ভাবতে হবে এই মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো নিয়ে। নয়তো কঠিন সংকটের মুখে এই পরিবারগুলো হেরে যাবে করোনাযুদ্ধে।