বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকসা চালক জিয়াউর রহমান হত্যায় জড়িত ছিলেন পাঁচজন। এদের মধ্যে গ্রেফতার একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম। শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ছোড়া উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, হত্যাকান্ডের শিকার জিয়াউর রহমান সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের ভরতপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার(১৮জুন) রাত সাড়ে দশটার দিকে তিস্তা সেচ ক্যানেলের পরিদর্শন সড়কের বাহালিপাড়া নামক স্থানে ছিনতাইকারীরা অটো চালককে ছুরিকাঘাত করলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় ছিনতাইকারীরা অটোরিকসা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের উপস্থিতির কারণে যে যার মত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শাহজালাল হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন নীলফামারী থানায়।
পুলিশ সুপার বলেন, তাৎক্ষণিক ভাবে প্রতিটি চেকপোস্টকে সতর্ক করা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায় সবখানে। ঘটনার পর থেকে জেলা পুলিশের আটটি ইউনিটের সহায়তায় টিম হিসেবে কাজ শুরু করা হয় রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারে।
লুঙ্গী ও শার্টে রক্ত লেগে থাকায় গ্রেফতার ফজলে রাব্বী উলঙ্গ অবস্থায় নদী পাড় হয়ে ঘুঘুমাড়ি গুচ্ছগ্রাম নদী তীরবর্তি একটি বাড়ির বাহিরে থাকা ওড়না পড়ে পাঠানপাড়া বাজারে যায় লুঙ্গি ও গেঞ্জি সংগ্রহের জন্য।
এ সময় তার আচরণে সন্দেহ হলে এবং হত্যার বিষয়টি জ্ঞাত হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এসপি বলেন, ফজলে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেশবা মাষ্টারপাড়া এলাকার মাজু মিয়ার ছেলে।
সেসহ আরো চারজন টেঙ্গনমারী বাজারে একত্রিত হয়ে আনন্দবাবুর পুল থেকে হরিশচন্দ্র পাঠ যাওয়ার জন্য তিন’শ টাকায় জিয়ার অটোরিকসা ভাড়া করে। পথিমধ্যে তারা এই ঘটনা ঘটায়। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় আরো মামলা রয়েছে।