সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক- দেশের সব উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত কার্যক্রম গতিশীল করতে পৃথক একটি কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি করে তাতে নিয়োগের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে এনআইডি ও ভোটার কার্যক্রমে অনিয়ম, ভোগান্তিও কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসির এনআইডি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপজেলা পর্যায়ে একজন মাত্র কর্মকর্তা রয়েছেন। যাদের বর্তমানে বিসিএস নন ক্যাডার থেকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। একটি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এই একজন কর্মকর্তার পক্ষে কাজ করাও দুরুহ হয়ে পড়েছে। কেননা, নির্বাচন কর্মকর্তার প্রধান কাজই হচ্ছে ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও নির্বাচন পরিচালনা করা।
তারা আরও জানায়, বর্তমানে তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এনআইডি সংক্রান্ত কাজগুলোও করতে হয়। এক্ষেত্রে তাকে এনআইডি সংশোধন, স্থানান্তর ইত্যাদি আবেদন নেওয়া ছাড়াও সেগুলো সরেজমিন তদন্ত, শুনানি ইত্যাদি করতে হচ্ছে। আবার এনআইডি বিতরণ, স্মার্টকার্ডের কাজও দেখতে হচ্ছে।
সবমিলিয়ে এক এনআইডি নিয়ে যে কর্মযজ্ঞ তা সম্পন্ন করতেই ব্যতিব্যস্ত থাকতে হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের। তাদের সহায়তা করছেন দুজন করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক সময় বাড়তি চাপের কারণে সুযোগ নেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা। তাদের অনেকে অনিয়মেও জড়িয়ে পড়েন। নির্বাচন কমিশন মাঠ পর্যায়ে অনেক ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের ইতোমধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায়ও এনেছে।
জানা গেছে, কমিশনের কাছে সমস্যাগুলো উপস্থাপনের পর উপজেলা/থানা পর্যায়ে নতুন একটি পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত আসে। ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলায় ‘সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা’ নামে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদটি সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে নিয়োগবিধি এখনো হয়নি। দ্রুতই সব গুছিয়ে এনে সেই নিয়োগ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
বর্তমানে দেশে ৪৯২টি উপজেলা রয়েছে। আর প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে একটি করে নির্বাচন কার্যালয়। আর রাজধানী ঢাকায় রয়েছে ইসির ১৫টি থানা নির্বাচন কার্যালয়। সব মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক উপজেলা/থানায় সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের কার্যক্রম নিয়েছে সংস্থাটি। যারা মূলত এনআইডি সংক্রান্ত কাজগুলো দেখভাল করবেন।