নিজস্ব প্রতিবেদক: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামে এক নারীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মামলাসহ হয়রানী করার।
অভিযোগে জানাযায়, এলাকাবাসী গ্রামের পূর্ব পাশ দিয়ে একটি রাস্তা ব্যাবহার করে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে উঠতো। যেই রাস্তা দান করেছে একই এলাকার খলেন্দ্রনাথ রায় নামের এক শিক্ষক। কিন্তু সম্প্রতি একই এলাকার সস্তারাম সিংহের মেয়ে পূরবী রাণী ও তার ভাই নিরেন তাদের টিনের বেড়া ধীরেধীরে এগিয়ে নিয়ে রাস্তা ছোট করে ফেলে এখন সেই রাস্তায় একটা মানুষ যাওয়া যায় মাত্র।
আগে এই রাস্তায় ভ্যানগাড়িসহ মটর বাইকও চলাচল করতো। এছাড়া রাস্তার উপর সারাবছর বাঁশের স্তুপ দেওয়া থাকে মানুষের চলাচলের অসুবিধার জন্য। গত জুলাই মাসের ২৩ তারিখে এলাকার রিনা পারভীন নামের এক মহিলার নামে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মারধর করার এক অভিযোগ দায়ের করে পুরবী। অথচ সেই দিন রিনা পারভীনের ঠাকুরগাঁও ডায়াবেটিক হাসপাতালে পিত্তথলি পাথরের অপারেশন হয়। এছাড়াও এলাকাবাসীর নামে মিথ্যা অভিযোগ করা তার নেশায় পরিণত হয়েছে।
কেউ সেই রাস্তা নিয়ে কোন কথা বলতে পারে না। গত বুধবার রাতে সুগার মিল পূজা মণ্ডপে রাধা অষ্টমীর পূজা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল বেলা বাচ্চারা প্রসাদ নেওয়ার উদ্দেশ্যে সেই রাস্তা ব্যাবহার করলে পূরবী লাঠি নিয়ে বাচ্চাদের মারধর করে। এছাড়া এলাকাবাসীর পথ আগলে ধরে লাঠি নিয়ে এই সম্পর্কিত একটি ভিডিও ও দেখা যায়। শুধু তাই নয় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক কর্মচারী বিবেকানন্দ সেই রাস্তা ব্যাবহার করলে তাকেও লাঞ্চিত হতে হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে মৃত তারিনি মহনের ছেলে জগদীশ সেই রাস্তা দিয়ে এলে তাকে প্রথমে লাঠি দিয়ে ধাওয়া দেয়, পরে তার চুল ধরে হেনস্থা করে। তার চিৎকারে এলাকার মহিলারা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদের সাথে চুলোচুলি হয়।
এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও দেখান এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে সবাইকে শান্ত করে। এব্যাপারে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন পুরবী সাংবাদিকদের বুঝিয়েছে তাকে মারপিট সহ ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এলাকাবাসী মহিলারা প্রশ্ন তোলেন কোন মেয়ে মানুষ কি মেয়ে মানুষকে ধর্ষণ করতে পারে?। এছাড়াও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন কিছুদিন আগে পুরবী পরপুরুষের সাথে অসামাজিক কার্য করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা খেয়ে মুচলেকা দেয়।তারা আরও অভিযোগ করেন তার বাড়ি পরপুরুষের আড্ডাখানা।
এলাকাবাসী গত ২৬ আগষ্ট এলাকার রাস্তা চলাচলের উপযোগী করতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার বরাবর একটি গণ পিটিশন দেন।তাদের দাবী তাদের এই রাস্তা সচল পূর্বক পুরবীর সকল মিথ্যা মামলা যেন প্রশাসন আমলে না নেয়।
এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি(তদন্ত) গোলাম মূর্তাজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমাদের নলেজে এসেছে।তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।