মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
পেঁয়াজ আমদানিকারক পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা গত ৫ মাসে ক্রেতার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত: ৮’ শো কোটি টাকা।সিআইডির এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এমন তথ্য। তবে তা মানতে নারাজ আমদানিকারক ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা ।
বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে তবে তা এখনো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। হাফিজ করপোরেশন, ফিরোজ এন্টারপ্রাইজ, রফিক ট্রেডার্সসহ ঢাকার আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও ছিল ভারতীয় পেঁয়াজের বড় আমদানিকারক। হাফিজ করপোরেশন গত অক্টোবরে দুই চালানে পেঁয়াজ আমদানি করে, প্রায় দেড় লাখ কেজি। যার দাম পড়ে কেজিতে ২৯ টাকা ১৮ পয়সা। আর বিক্রি হয় ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। কারসাজি করে আমদানি মূল্যের দ্বিগুন দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে।
অভিযোগ উঠেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকির অভাবে পেঁয়াজ নিয়ে এমন কারসাজি হয়। আর কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানায় সিআইডি।
গত বছরের অক্টোবরে নওগাঁর আমদানিকারক জগদীস চন্দ্র রায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ কেজি পেঁয়াজ আমদানি করে, যার দাম ছিল কেজিতে ২০ টাকা ৮৬ পয়সা থেকে ২৯ টাকা ২১ পয়সার মধ্যে। আমদানিকারক এই পেঁয়াজ বিক্রি করেন ৩৯ টাকা থেকে ৫৪ টাকায়। এক মাসেই তার লাভ হয় ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে আরও ১০ টাকা করে মুনাফা ধরে বিক্রির কারণে সাধারণ ক্রেতাকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ৭০ টাকায়। এমন ১৪/১৫টি বড় আমদানিকারক এসময় শুধু হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সাড়ে ১১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করে যাতে মুনাফা হয় ২৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা।