শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় মৃত্যু হওয়া লেখক মুশতাকের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যদের কাছে মুশতাকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাফি মোহায়েম জানান, মুশতাককে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তে তার শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে, আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শরীরের বিশেষ কিছু অংশ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের (৫৩) মৃত্যু হয়। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুশতাক আহমেদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। গত বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এ তিনজনসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যাব। সেই মামলায় দু’জন জামিনে মুক্তি পেলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ করে আদালত। মুশতাক আহমেদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকায়। লালমাটিয়ায় স্ত্রী ও বৃদ্ধ মা–বাবার সঙ্গে থাকতেন। তিনি মা–-বাবার একমাত্র পুত্রসন্তান। মুশতাক আহমেদ দেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষের উদ্যোক্তা।