শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন

“হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গা” সেই কমলা রানী আর নেই

“হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গা” সেই কমলা রানী আর নেই

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন চার দলীয় ঐক্য জোটের অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার বরিশালের আগৈলঝাড়ার রাজিহার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী, ইউপি সদস্য সঞ্জয় রায়ের মাতা “হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গা” কমলা রানী রায় (৬৩) দীর্ঘদিন যাবত হার্ট, লিভার, কিডনী, ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন রোগে ভুগে শুক্রবার রাত ৩:২৩ মিনিটে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি নাতনীসহ শুভাকাঙ্খি রেখে গেছেন। শনিবার দুপুরে কমলা রানীর নিজ বাড়িতে স্বামীর পাশে তার অন্তোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বরিশাল-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্, বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ্, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রসংগত, ২০০১ সালে চার দলীয় ঐক্যজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর পরই দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় সংখ্যালঘু নির্যাতন। তারই ধারাবাহিকতায় আগৈলঝাড়ার উপজেলার রাজিহার গ্রামে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটসহ অবর্ণনীয় নির্যাতনের মহা তান্ডব চালায় বিএনপি নেতা কর্মীরা। সেই তান্ডবের শিকার হয়ে তৎকালীন ইউপি সদস্য কমলা রানী রায় প্রাণ বাচাতে আশ্রয় নেন গোপালগঞ্জের রামশীল গ্রামে। জোট সরকারের তৎকালীন স্ব-রাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন শপথ না নিয়েই ছুটে আসেন আগৈলঝাড়ায়। নির্যাতনের মিথ্যা বর্ণনা দিতে বিএনপি নেতাদের সহায়তায় ধরে আনা হয় নিযাতীতা কমলা রানীকে। সভামঞ্চে তৎকালীন এমপি জহির উদ্দিন স্বপনের উপস্থিতিতে তিনিসহ এলাকার নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে “হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দেন কমলা।” সেই ইতিহাসের স্বাক্ষী কমলা রানী নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে পরিচিতি পান বিশ্ব মিডিয়ায় হাটে হাড়ি ভাঙ্গা কমলা হিসেবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com