মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
সুমন খান: মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া স্ট্যান্ডে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন আহত হয়। ১১আগষ্ট, বুধবার সকালে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের আড়ালিয়া বাজার স্ট্যান্ডে মামলার আসামি রহিম গং চক্রটি বাদীপক্ষ রুবেল গংদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় । হামলায় পূর্বের মারামারি মামলা বাদী পক্ষের তিনজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন আড়ালিয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মিছির আলী , মৃত রহমত আলীর ছেলে আলী আকবর ও চান বাদশা। পূর্বের চাঁদাবাজি ও মারামারি মামলার বাদী রোবেল মিয়া জানান মারামারি মামলা এবং চাঁদাবাজি চক্রের মূল হোতা রহিম গং বুধবার সকালে অতর্কিত ভাবে আরালিয়া বাজার স্ট্যান্ডে হামলা চালিয়ে তার নিজের মুদি দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা ও মালামাল ভাংচুরসহ তিনজনকে গুরুতর জখম করেছে। আহত তিনজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান মারামারি সংক্রান্ত ঘটনায় আহত তিনজন কে গুরুতর জখম থাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঠানো হয়েছে। আহত চান বাদশার চাচা আলাউদ্দিন প্রধান জানান রহিমগং চক্রটি এলাকায় আরালিয়া গ্রাম সংলগ্ন নদীতে চাঁদাবাজি সহ আরালিয়া বাজার স্ট্যান্ডে একাধিক দোকানে চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করায় আজকের এই অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। রহিমগং চক্রটি এলাকায় চাঁদাবাজি সহ নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা অহরহ ঘটিয়ে যাচ্ছে। অভিযুক্ত রহিম মিয়া কে মোবাইলে চেষ্টা করার পর বাড়িতে যোগাযোগ করে সন্ধান পাওয়া যায় নাই।
ঘটনার পর বাজার এলাকায় সবকয়টি দোকান বন্ধ রয়েছে। বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শহিদুজ্জামান জুয়েল বলেন আড়ালিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আজকের এই মারামারি হয়েছে। তিনি আরো বলেন প্রায় দুই মাস আগেও উভয়পক্ষের মাঝে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়ে সংঘর্ষ বাধে। ইউনিয়ন পরিষদে উভয়পক্ষকে সালিশি বিচারের মাধ্যমে মীমাংসা করে দেওয়া হলেও একপক্ষ থানায় গিয়ে অভিযোগ করে তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই সংঘর্ষ বাধে। গজারিয়া থানা ওসি মোঃ রইছ উদ্দিন জানান পূর্বের মারামারির মামলার জের ধরে আজকের এই মারামারি সংঘটিত হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের অভিযোগ ভিত্তিতে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গজারিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।