শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পানি ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ক্যাম্পেইন প্রোগ্রামে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা দেশব্যাপী নাশকতার প্রতিবাদে কেরানীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি নরসিংদীতে দশম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা আক্তার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন গণভোটের প্রশ্ন কেমন হবে, পরিস্কার করলেন প্রধান উপদেষ্টা রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা, মোড়ে মোড়ে তল্লাশি রমজান মাসে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মোস্তফা কামরুস সোবহান রূপালী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান পুনঃনির্বাচিত ডেঙ্গুতে আরো ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৩৯ গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ, ইস্টার্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৩ জনের কারাদণ্ড

পদক্ষেপ নিয়েও কাটছে না লাইটারেজ জাহাজের সংকট

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২ মার্চ, ২০১৮
  • ৫৪১

নানা পদক্ষেপ নিয়েও চট্টগ্রাম বন্দরে লাইটারেজ জাহাজের সংকট কাটছে না। ফলে একদিকে যেমন বাজারে আমদানিকৃত পণ্যের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে বহির্নোঙ্গরে মাদার ভ্যাসেলের জট দেখা দেয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে শিপিং ব্যবসায়ীদের।

একই সাথে কিছু কিছু আমদানিকারক স্থায়ী গুদামের পরিবর্তে নদীতে ভাসমান লাইটারেজ জাহাজকে গুদাম হিসাবে ব্যবহার করায় এই সংকট সৃষ্টি হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিশাল আকৃতির মাদার ভ্যাসেলের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানিকরা চাল, গম, ডাল, পাথর, সিমেন্ট ক্লিংকারসহ কার্গো পণ্য মূলত বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে লাইটারেজ জাহাজে খালাস করা হয়। বর্তমানে যে পরিমাণ আমদানি পণ্য নিয়ে মাদার ভ্যাসেল বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে অবস্থান নিচ্ছে, কিন্তু সে অনুযায়ী লাইটারেজ জাহাজ পাচ্ছেন না আমদানিকারকরা।

বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল কো কনভেনার শফিক আহমেদ, লাইটারের সংকট থাকলে আমাদের আমদানিকারকদের ক্ষোভ বাড়ে আমাদের ওপর।

চট্টগ্রাম বন্দরে আসা মাদার ভ্যাসেলগুলোকে ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে পণ্য খালাস করে বন্দর ছাড়তে হয়। কিন্তু লাইটারেজ সংকটের কারণে মাদার ভ্যাসেলগুলোকে দিনের পর দিন বর্হিনোঙ্গরে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, লাইটার সংকটের কারণে আমাদের মাদার ভ্যাসেলের ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়শেন চেয়ারম্যান ফজলে একরাম চৌধুরী বলেন, আমাদের যথেষ্ঠ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিষয়টা নিয়ে।

চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি ১শ ২২টি জাহাজের মধ্যে বর্হিনোঙ্গরেই রয়েছে ১০৫টি। এর মধ্যে ৪৯টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস চললেও বাকি ৫৬টি জাহাজ অপেক্ষায় রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন দীর্ঘদিন এই জাহাজের বন্ধ ছিলো।

সাড়ে তিন হাজার লাইটারেজ জাহাজ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের নিবন্ধিত হলেও এর অর্ধেক বর্তমানে সচল। আমদানিকাদের একটি অংশ লাইটারেজ জাহাজকে গুদাম হিসাবে নদীতে ব্যবহার করায় এ সংকট বলে মনে করছেন এই শিপিং ব্যবসায়ীরা।

কমপক্ষে ৬০টি লাইটারেজ জাহাজ থাকলে বৈঠকের মাধ্যমে পণ্য খালাসের জন্য জাহাজ বরাদ্দ দেয় বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল। প্রতিদিন জাহাজ বরাদ্দের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও লাইটারেজ জাহাজ সংকটের কারণে বর্তমানে দু’ থেকে তিনদিন পর পর বৈঠক হচ্ছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com