রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নরসিংদীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জালিয়াতি: ভূমি অধিগ্রহণে কোটি টাকার অনিয়ম, দুদুকে অভিযোগ ভুটানকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু:প্রধান উপদেষ্টা এগুলো ‘আফটার শক’, আবারও ভূমিকম্পের ঝুঁকি আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম সাকিব আল হাসানকে এবার দুদকে তলব নরসিংদী চীফজুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা স্ত্রী-কন্যার ছবি শেয়ার করে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন তারেক রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল কবিতা পড়লে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে কী ঘটে? নরসিংদীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতির অভিযোগ

গৌরীপুরের শালীহর গণহত্যা দিবস

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১
  • ২৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ২১ আগস্ট শনিবার, শালীহর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের শালীহর গ্রামে পাকবাহিনীর গণহত্যায় ১৪ জন শহীদ হন। সেদিন গণহত্যার পর পাকবাহিনীর ভয়ে শালীহর গ্রামের হিন্দু পরিবারের সদস্যরা প্রথাগত ভাবে শহীদদের মরদেহ সৎকার করতে না পেরে মাটি চাপা দিয়েছিল। এসব স্মৃতি রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট পাকবাহিনী একটি বিশেষ ট্রেনে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে বিসকা রেলওয়ে স্টেশনে নেমে পড়ে। এরপর তৎকালীন বিস্কা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সলিম উদ্দিন (অবাঙালি) এবং আল বদর কমান্ডার আব্দুল মান্নান ফকিরের নেতৃত্বে উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত শালীহর গ্রামে হানা দিয়ে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও তান্ডব চালায় পাকবাহিনী। গুলি করে হত্যা করে ১জন মুসলমানসহ ১৩ জন হিন্দুকে। গুলির মুখ থেকে কালেমা পাঠ করে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান নগেন্দ্র চৌকিদার। তবে পাক বাহিনী ধরে নিয়ে যায় গ্রামের বাসিন্দা ছাবেদ আলী বেপারীকে।

এরপর দীর্ঘ ৫০ বছরে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেদিন গ্রামে ঢুকেই পাকবাহিনী প্রথমেই গুলি করে হত্যা করে নিরীহ কৃষক নবর আলীকে। এরপর একে এক মোহিনী মোহন কর, জ্ঞানেন্দ্র মোহন কর, যোগেশ চন্দ্র বিশ্বাস, কিরদা সুন্দরী, শচীন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস, তারিনীকান্ত বিশ্বাস, দেবেন্দ্র চন্দ্র নম দাস, কৈলাস চন্দ্র নম দাস, শত্রুগ্ন নম দাস, রামেন্দ্র চন্দ্র সরকার, অবনী মোহন সরকার, কামিনী কান্ত বিশ্বাস, রায় চরণ বিশ্বাসকে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আশুতোষ রায় এবং আবুল হাসিমের উদ্যোগে প্রতিবছর ২১ আগস্ট শালীহর গ্রামে শহীদদের স্মরণ করা হতো। পরবর্তীতে ২০১০ সালে তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব) মজিবুর রহমানের উদ্যোগে শালীহর বধ্যভূমিতে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। ২০১৮ সালে জেলা পরিষদ সদস্য এইচএম খায়রুল বাসারের উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভ সংস্কারের সময় বসানো হয় শহীদদের নামফলক। চলতি বছর গণপূর্ত বিভাগে অধীনে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয় কিস্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও শহীদদের পরিবারগুলো ‘শহীদ পরিবার’ হিসাবে স্বীকৃতি পায়নি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর গণহত্যায় যারা শহীদ হয়েছেন, যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ওই শহীদ পরিবারগুলোর চূড়ান্ত তালিকা প্রনয়ন করে সরকারের নিকট স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানান। কারণ স্বীকৃতিটা তাদের প্রাপ্য।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com