বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করা বাংলাদেশ বিমানের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউমের মৃত্যুর বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি এখনো কোমায় আছেন। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
রবিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ এ তথ্য জানান।
এদিকে বিমান সূত্রে জানা যায়, নাগপুরের হোপ হাসপাতালে কোমায় থাকা নওশাদ ক্লিনিক্যালি ডেড। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে অনুমতির অপেক্ষা করছে। তবে নওশাদের স্বজনরা এখনই লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চাচ্ছেন না। তাদের দাবি, নতুন করে মেডিকেল বোর্ড বসানো হোক। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তারাই সিদ্ধান্ত দিক। এ দাবিতে বিমান কর্তৃপক্ষেরও সায় আছে।
এর আগে হাসপাতালের সহকারি মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে জানান, ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘কোমায়’ আছেন। সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় তাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ওমানের মাসকাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি০২২ মোট ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন তিনি। পরে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।
হার্ট অ্যাটাকেরও পরও মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করানোয় প্রশংসায় ভাসেন পাইলট নওশাদ। তবে এটাই প্রথম নয়। ২০১৭ সালেও এমন বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন তিনি। সে সময় বাঁচিয়েছিলেন দেড়শ যাত্রীর জীবন। ওই ঘটনার স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ। বৈমানিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএএলপিএ) প্রশংসাপত্র পেয়েছিলেন ৪৪ বছরের এই বৈমানিক।