শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
গত ২০ বছরে বিশ্বে নারী উন্নয়ন হলেও শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের চেয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে পিছিয়ে আছে। নারী দিবস ২০১৮ উপলক্ষে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব শ্রম সংস্থা আইএলও।
আইএলও’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় জেনেভা থেকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীরা অপ্রত্যাশিতভাবে বিশ্বের সব দেশে শ্রমবাজারে কম অংশগ্রহণ করছে। ২০১৮ সালে বিশ্বে নারীর বেকারত্বের হার হবে ৬ শতাংশ যা পুরুষের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
আইএলও’র ডেপুটি পলিসি ডিরেক্টর ডিবরহ গ্রিনফিল্ড বলেন, যদিও ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা অনুযায়ী অগ্রগতি হয়েছে, তথাপি পুরুষের সঙ্গে সমতায় যেতে এখনও নারীকে অনেক পথ পারি দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সমান সুযোগ, বেতন বৈষম্য কিংবা অন্য যেকোন ধরনের বৈষম্য দূর করারা জন্য আমাদের বদ্ধমূল ও অগ্রহণযোগ্য ঐতিহ্য পরিহার করে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এছাড়া গৃহস্থালি এবং সেবার দায়িত্বে নারীর প্রতি বৈষম্যের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
গবেষণায় দেখা যায়, নারীরা তাত্পর্যপূর্ণভাবে গুণগতমানের কাজের ক্ষেত্রে এবং ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে আছে। পুরুষের তুলনায় নারীরা দ্বিগুণ পরিবারের কাজে সময় দিচ্ছে। তারা বাড়ির ব্যবসাতে কাজ করেও পারিশ্রমিক পাচ্ছে না। তাদের কাজের স্বীকৃতি নেই। আবার নিয়োগের জন্য চুক্তিপত্র, নিয়োগপত্র ও এগ্রিমেন্ট হয় না। যদিও গতদশকে বেশ কয়েকটি দেশে পারিবারিক কাজে নারীর অংশগ্রহণ কমেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর উচ্চ হার বিরাজ করছে। এই অবস্থায় ২০১৮ সালে ৪২ শতাংশ নারী এবং ২০ শতাংশ পুরুষ বারিবারিক কাজে জড়িত হবে।
২০২১ সাল নাগাদ এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। যার ফলে উন্নয়নশীল দেশে অধিক সংখ্যক নারী অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে যুক্ত থাকবে। এই তথ্য পূর্বের গবেষণার মতো লিঙ্গ বৈষম্য বাড়িয়ে দেওয়াই নিদের্শ করে। যদিও নারীকে ব্যবসা করতে দেখা যায়, তারপরও ২০১৮ তে নারীর তুলনায় পুরুষ চারগুণ বেশি কাজ করবে। এইভাবে লিঙ্গ বৈষম্য, ব্যবস্থাপনায়, নারীরা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হবে। দৃঢ়ভাবে নারীর আত্মপ্রতিষ্ঠায় সব বাধা কমিয়ে আনতে পারলেই অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। নারীর ক্ষমাতায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে সব নারী ও কন্যা শিশুদের নিয়ে আসতে হবে।