শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

দেশের ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে টিকা দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে টিকা দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী মাস থেকে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা আশা করি আগামী মে-জুনের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা এরই মধ্যে ৩১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করেছি। এই টিকা থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমাণে টিকা আমাদের হাতে চলে আসছে। এর মধ্যেই ৭ কোটি প্রথম ডোজ, ৫ কোটি দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ১২ কোটি টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি টিকার প্রয়োজন হবে। সরকার ৩১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করেছে। কাজেই বুস্টার ডোজসহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে হাতে আরও ৩ কোটি থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে আমরা স্কুল পর্যায়সহ বস্তিতে গিয়েও টিকা দিয়েছি। আগামী মাস থেকে প্রতি মাসেঅন্তত ৪ কোটি দেওয়ার কাজ শুরু করছি। এজন্য আগামী মাস থেকেই দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। এতে আশা করা যায়, আগামী মে-জুনের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবো।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এসেনসিয়াল ড্রাগস লিমিটেডের (ইডিসিএল) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ইডিসিএলের উৎপাদন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রকম ওষুধের উৎপাদনের চাহিদাও পাচ্ছে ইডিসিএল। কিন্তু সে তুলনায় ইডিসিএল স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অবকাঠামো দুর্বলতা, যন্ত্রপাতির ঘাটতি, ফ্যাক্টরির জায়গা স্বল্পতাসহ এখানে নানা রকম সমস্যা রয়েছে। এজন্য ইডিসিএলের জন্য একটি অত্যাধুনিক কারখানা নির্মাণের বিল এখন একনেকে রয়েছে। এটি দ্রুতই সম্পন্ন হবে। এসব উদ্যোগ সম্পন্ন করার পর ইডিসিএল আরও বেশি শক্তিশালী হবে।

তিনি আরও আরও বলেন, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে। সাউথইস্ট এশিয়ায় করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে। ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতাল বেড বাড়ানো হয়েছে। দেশে করোনার সময় কোথাও ওষুধ বা অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়নি। সঠিক চিকিৎসা গাইডলাইন ছিল বলেই করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে। সামনে ওমিক্রনে আবার চাপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন ওমিক্রন ঠেকাবে না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই ওমিক্রন ছড়াবে না। ওমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে মাস্ক পরারও আহ্বান জানান জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, ডিজিডিএ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইডিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবির।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com