সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস, কিন্তু সাধারণ মানুষ তাকে চিনত এমবিবিএস চিকিৎসক হিসেবে। নিজেকে মেডিসিন ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ দাবি করে নিয়মিত দেখতেন রোগী। বসতেন রাজধানীর সবুজবাগে সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
দীর্ঘদিন ধরে ওই হাসপাতালে মানুষকে চিকিৎসাপত্র দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন মহিউদ্দিন আহমেদ মাসুদ (৩৮) নামের এই ব্যক্তি। এই ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (অপস ও ইন্ট শাখা) সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব বলছে, গ্রেফতার মাসুদ এইচএসসি পাস করা সত্ত্বেও ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ রোগী ও ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।
জানা যায়, সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসেন মহিউদ্দিন আহমেদ। সেখানে তিনি নিজেকে এমবিবিএস (ডিইউ) পি.জি.টি (মেডিসিন ও শিশু) মেডিসিন ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ, চর্ম, যৌন, নাক, কান-গলা রোগে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলে ভুয়া পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।
তিনি বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে রোগ শনাক্তের নামে রোগীদের অযথা নানা পরীক্ষার নির্দেশনা দিতেন। ব্যবহার করতেন ৪৫ হাজার টাকা দামের ক্যামেরাযুক্ত কলম। তার নির্দেশনাপত্র এবং পরীক্ষাগুলোর নাম ক্যামেরাযুক্ত কলমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির রেকর্ডে চলে যেত। কোম্পানিগুলো থেকে এর বিনিময়ে বড় অঙ্কের অর্থ পেতেন তিনি।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোয়েন্দা তথ্য ও অনুসন্ধানের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি দল সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালায়। এসময় মহিউদ্দিন আহমেদ মাসুদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এ সময়, মাসুদের চেম্বার থেকে একটি নেমপ্লেট, ৫০০টি ভিজিটিং কার্ড, ২৫টি বিভিন্ন প্রকার সিল, ২০০টি প্রেসক্রিপশন, দুইটি মোবাইল, একটি গোপন কলম ক্যামেরা এবং নগদ চার হাজার ৮৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ জানান, তিনি বরিশালের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। এমবিবিএস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিলেও কোনো বৈধ ডাক্তারি সনদ নেই তার।
তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র্যাব।