বেনাপোল প্রতিনিধি (যশোর) : নব্যতা ফিরে পেতে চলেছে তার অতীত ঐতিহ্য ও গৌরবের প্রতিক হিসেবে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের কপোতাক্ষ নদ.যশোরের ঝিকরগাছায় জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পুর্ণখননের কাজ চলছে। কপোতাক্ষ নদের কারণে প্রতিবছর জলাবদ্ধতার স্বিকার হতে হয় কপোতাক্ষ পাড়ের বহুপরিবারের বাস্তচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি চরম মানবেতর জীবন কাটাতে হতো। সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যাচ্ছে কপোতাক্ষের দু’পাড়ের হাজার হাজার কৃষি, মৎস্য ও পেশাজীবী পরিবার। দীর্ঘ নদীপাড়ের জেলেপল্লীর মৎস্যশিকারীরা নদী খননের খবরে দারুণ উচ্ছুসিত-আনন্দিত। নদী অববাহিকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝেও দেখা দিয়েছে নতুন সম্ভবনার দ্বার। তবে কপোতাক্ষ নদ থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার সকালে ঝিকরগাছা পৌরসদরের কাটাখাল বঙ্গবন্ধু পার্ক এলাকায় এস্কেভেটরের থনন কাজ দেখতে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সাব-ঠিকাদারদের প্রতিনিধি কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে পুর্ণখননের কাজের পরিদর্শন করলেন কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতৃববৃন্দ। অতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে ঐতিহ্যের কপোতাক্ষ নদের পূণর্খননের কাজ কিন্তু এই কার্যক্রম দেখে সন্তুটি হতে পানেনি কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ। তিনি আরো বলেন, কপোতাক্ষ নদের পূণর্খননের কাজ যে ভাবে হচ্ছে এ থেকে দেখা যাচ্ছে কপোতাক্ষ নদের মাঝের থেকে মাটি কেটে নদের সাইটেই রেখে দিচ্ছে। যদি এখন বৃষ্টি আসে তাহলে, আবারও পূণর্খননের মাটি কপোতাক্ষ নদের ভিতরে চলে যাবে। এতে করে দেখা যাচ্ছে কপোতাক্ষ নদ যেমন ছিল ঠিক আবারও তেমননি হয়ে যাবে বলেন দুঃখ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি কর্তৃপক্ষে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনারা যে ভাবে আপনাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সেটা সরকারি নিয়মনীতি মোতাবেক শিডিউল মোতাবেক হওয়া চায়। যদি শিডিউলের বাহিরে গিয়ে কাজ করেন তাহলে কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন কমিটি আপনাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির ঝিকরগাছা উপজেলা শাখার আহবায়ক মোঃ আব্দুর রহিম, সদস্য শাহিনুর রহমান শাহিন, রবিউল ইসলাম, ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহ সভাপতি আতাউর রহমান জসি, সদস্য মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন, সাংবাদিক আফজাল হোসেন চাঁদ, শাহাবুদ্দিন মোড়ল ইয়ার হোসেন সোহান প্রমুখ।