মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন

শফিকুল এক হার না মানা জীবনের গল্প

শফিকুল এক হার না মানা জীবনের গল্প

এম আসমত আলী: টিটিই শফিকুলের কর্মে গর্বিত শৈলকুপাবাসী, মাটিরঘরে যাদের বসবাস, মাঠে নেই কোন জমা-জমি । নুন আনতে পানতা ফুরাই। এই হলো রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলামের ৩ স্বজন কে জরিমানা করে বরখাস্ত ভ্রাম্যামান ট্রেন টিকিট পরিদর্শক(টিটিই) শফিকুল ইসলামের বাড়ি। এলাকাতে ছোট বড় সবার কাছে শফিকুল শফিক স্যার হিসাবে পরিচিত। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া গ্রামের রজব আলী বিশ্বাসের ছেলে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রোষানলে পড়ে সাময়ীক বরখাস্ত হলেও শফিকুলের কর্মে গর্বিত বাবা-মা, প্রতিবেশীরসহ শৈলকুপাবাসী ।

বাড়ির জমি মাত্র ১০ শতক, আর কোন উপায় না থাকায় পরের জমিতে কামলার কাজ করে সংসার চালাতেন শফিকুলের পিতা। ছেলে কে লেখাপড়া করানোর মতো কোন সামর্থ্য ছিল না। তাই ছোট বেলা থেকে নিজ পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন শফিকুল। ২ ভাই ১ বোনের ভেতরে সে বড়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেও ভর্তির টাকা জোটেনি সেই সময়, কিন্তু হাল ছাড়েনি। দিনে রাতে ৪টি ব্যাচে প্রাইভেট পড়িয়ে আইনের এই ছাত্র চালিয়েছে নিজের পড়ালেখা। অনার্সে পড়া অবস্থায় প্রায় ৯ বছর আগে চাকুরী পায় বাংলাদেশ রেলওয়েতে। এ অবস্থায় মাস্টার্সও কমপ্লিট করে। চাকুরী থেকে বরখাস্তের খবরে শফিক তার শ্যালক কে জানায় ‘সৎভাবে বাঁচতে গেলে এ অবস্থায় হয়’।

প্রতি মাসে সরকারী কোষাগাারে সর্বোচ্চ টাকা জমা দেওয়ার কারণে সহকর্মীদের কেউ কেউ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল তার শ্যালক কে জানান শফিকুল ।
শফিকুলের বরখান্তের খবরে বিষ্মিত স্বজন ও এলাকাবাসী। অনেকে বলছে অনিয়ম-দুর্ণীতি করলে শফিকুলের মাটির ঘর থাকতো না।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com