রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর শাহ আলী থানা পুলিশের চৌকশ অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলামের নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার এস, আই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে চার মামলার আসামি লাকী বেগম ওরফে শিউলি বেগম নামে এক চিহ্নত মহিলা চোরকে গ্রেফতার করেছে। একই সাথে আসামিকে নিয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে চুরি যাওয়া বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, উক্ত আসামী লাকী বেগম দীর্ঘদিন ধরে এই চৌর্যবৃত্তি পেশায় জড়িত রয়েছে। আসামী ছদ্মবেশে ভাসমান অবস্থায় ভবঘুরে থেকে বাসা বাড়িতে কাজের খোঁজ করতে থাকে। যে কোন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সর্বোচ্চ তিন তিনের মধ্যেই সেই পরিবারের সদস্যদের নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে সবাইকে অজ্ঞান করে বাসায় থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় এই নারী। চুরির অভিযোগে ইতিপূর্বে একাধিকবার ধানমন্ডি ও কাফরুল থানায় গ্রেফতার হয়েছিল। কিন্তু আসামি অত্যন্ত চতুর হওয়ায় বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে থানা পুলিশ ও আদালতকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সহজে জামিনে বেরিয়ে পুনরায় চুরি অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।
সর্বশেষ গত ২৬ মে ২০২২ তারিখে চলতি মামলার বাদী শাহ আলী থানার বাসিন্দা সুমন হোসেনের বাড়িতে ছয় হাজার টাকা বেতনে গৃহকর্মী হিসেবে যোগদান করে বাড়ির সবাইকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খাইয়ে সবাইকে অজ্ঞান করে চুরি সম্পূর্ণ করে পালিয়ে যায়। ঘটনার প্রায় একমাস পেরিয়ে গেলেও চোরকে গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। কিন্তু শাহ্ আলী থানার নবাগত ওসি আমিনুল ইসলাম যোগদান করেই পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সহজেই এই মামলায় আসামিকে আটকের সহিত চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার পূর্বক দূর্ধর্ষ চোরের মুখোশ উন্মোচন করতে সক্ষম হন। ওসি আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তার পূর্বের কর্মস্থল গুলশান থানা এলাকায় বড় বড় চুরির ঘটনায় চোর গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের সফলতার বর্ণনা দেন। এছাড়াও চুরি ছিনতাই, কিশোর গ্যাঙের প্রতিরোধে বেশ কিছু ব্যাতিক্রম পদক্ষেপ নেয়ার কথা উল্লেখ করেন উক্ত প্রতিবেদকের নিকট।