মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
এম, আসমত আলী: মিরপুর দরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হযরত শাহ আলী গার্লস হাই স্কুলের জমিতে গড়ে তোলা অবৈধ স্কুল মার্কেট।
মঙ্গলবার সকাল থেকে এসব অবৈধ স্থা্পনা উচ্ছেদ শুরু করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। উক্ত অভিযান পরিচালনা করেন রাজউক জোন-৩ এর পরিচালক বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সরোয়ার। এতে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসি ও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রাজধানীর মিরপুর-১ নং সেকশন এলাকার ঐতিহ্যবাহী দরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হযরত শাহ আলী (র:) উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের জায়গা জোর করে ভূয়া কাগজ তৈরি করে দখল করে অবৈধ মার্কেট নির্মাণ শুরু করে বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্যের জামাতা আজহারুল কবীর।
এই আজহারুল ইসলাম এর এই অবৈধ মার্কেট নির্মাণ কাজ হালাল করাতে সার্বক্ষণিক তাকে সর্ব বিষয়ে সহযোগিতা করে আসছিলেন হযরত শাহ আলী (র:) উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার ও স্থানীয় ভূমি দস্যু মজিবুর রহমান ওরফে ভূমি মুজিব ওরফে ঠিকাদার মুজিব।
ইতিপূর্বে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় মিরপুর দরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হযরত শাহি আলী গার্লস স্কুলের জমিতে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক অবৈধ মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য” শিরোনামে বিশদ সংবাদ ছাপা হয়।
তথাপিও মূল অভিযুক্ত আজহারুল কবীর ও তার অন্যতম দু সহযোগী প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার এবং প্রভাবশালী ভূমি দস্যু মজিবুর রহমান ওরফে ভুমি মুজিব প্রতারণার মাধ্যমে নির্মাণাধীন মার্কেটের দোকান বরাদ্দ দিয়ে কোটি কেটি টাকা হাতিয়ে নিতে থাকেন। এদিকে এ স্কুল মার্কেট উচ্ছেদ চোখে দেখে হতাশ হয়ে পড়েছে অবৈধ দোকান বরাদ্দ নেওয়া গ্রাহকরা। এদের মধ্যে দুজন গ্রাহক খবরের আলোকে ফোন করে বলেন, তখন খবরের আলোর সংবাদ বিশ্বাস করলে আজ আমার এত বড় সর্বনাশ হতোনা। তিনি আরো বলেন, আমরা যাদেরকে দোকান বরাদ্দের অগ্রীম টাকা পরিশোধ করেছি সেই সাংসদের জামাতা আজহারুল কবীর, স্কুলের ম্যাডাম নার্গীস আক্তার ও ঠিকাদার মুজিবর রহমানের মোবাইল বন্ধ রয়েছে। তাদের বাসার সামনে যেয়েও খোঁজ করেছি কিন্তু তাদের কোনো হদিস পাইনি ।
তিনি আরো বলেন আমি বিকেল পর্যন্ত দেখবো এর মধ্যে যদি আমার টাকা আমি ফেরৎ না পায়- তাহলে দোকান অগ্রীম বরাদ্দের যে কাগজ আমার কাছে আছে এই দিয়েই আমি নিজেই শাহ আলী থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা করবো।