সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব মহামন্দায় বাংলাদেশকে সাতটি সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সেগুলো হলো- ডলার সংকট, জ্বালানি সংকট, মূল্যস্ফীতি সংকট, খাদ্য সংকট, ইউক্রেন সংকট, কোভিড ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস ও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ উত্তরণ কোন পথে?’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সংগঠনটির পক্ষে এ কথা বলা হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংকটগুলোকে আমরা সাতটি ভাগে ভাগ করেছি। এসব সংকটের মধ্যে ডলার, জ্বালানি, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য সংকটের কারণে অন্যান্য সংকটগুলো আরও ঘণীভূত হচ্ছে। সার্বিকভাবে ওই সাত সংকট আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
ফাহমিদা খাতুন উল্লেখ করেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস দেখা গেছে। বিশ্বজুড়েই মূল্যস্ফীতি ঐতিহাসিকভাবেই ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে। বিভিন্ন দেশে প্রবৃদ্ধি হয় নিচে অথবা নেতিবাচক দিকে রয়েছে। আমরাও সেই প্রভাব অনুভব করছি। এই সংকটটি চলমান ও আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
ফাহমিদা আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি লাগামগীন। আন্তর্জাতিক পণ্যের দামও বেশি। আবার দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেশি। খাদ্য সংকটেরও আভাস পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) পৃথিবীর ৪৫টি দেশ খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করছে বলে জানিয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।
সিপিডির গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা শহরে যারা বসবাস করছেন তাদের খাদ্যপণ্যের তালিকার ১৯টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য রয়েছে। যা মানুষের ভোগের মধ্যে সব সময় থাকে। ঢাকায় চার সদস্যের একটি পরিবারের অত্যাবশ্যকীয় সব খাদ্যসহ সার্বিক খরচ ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ছিল ১৭ হাজার ৫৩০ টাকা, যা ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবরের খাদ্যপণ্যের মূল্য বিবেচনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৪২১ টাকা।
অন্যদিকে মাছ ও মাংস বাদ দিলেও কম্প্রোমাইজ ডায়েট হিসেবে চার সদস্যের পরিবারের ন্যূনতম খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৯ টাকা। যা ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ছিল ৬ হাজার ৫৪১ টাকা। খাদ্য মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্কের হার কমাতে পারলে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ কমে আসত বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।