রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ!
বুয়েট ছাত্র ফারদিনের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন

বুয়েট ছাত্র ফারদিনের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা বুয়েট ছাত্র ফারদীন নুর পরশের শরীর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। প্রাথমিকভাবে এটিতে হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছেন চিকিৎসক।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের এই তথ্য দেন চিকিৎসক। ফারদিনের মরদেহ এখন ঢাকায় আনা হবে। নিখোঁজের তিন দিন পর গতকাল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার ফারদীনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মরদেহ উদ্ধারের পর ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন বলেছিলেন, পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর তার ছেলের লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ছেলেকে হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি।

গত শুক্রবার রাজধানী থেকে নিখোঁজ হন ফারদিন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছিল না। পরে নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়ে রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা নুর উদ্দিন। এতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে ফারদিন নূর রাজধানীর ডেমরা থানার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বুয়েটে তার আবাসিক হলের উদ্দেশে বের হন। পরদিন শনিবার সকালে তার পরীক্ষা ছিল। তবে তিনি পরীক্ষায় অংশ নেননি। তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এছাড়া ছেলের সন্ধান চেয়ে রোববার (৬ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন ফারদীনের বাবা নূরউদ্দিন। সেখানে ফারদিনকে শেষবার রামপুরা ব্রিজ এলাকায় দেখা যায় বলে জানান তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের-১৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তার সন্তান। আবদুর রশীদ হলের আবাসিক ছাত্র তিনি। শুক্রবার রাতে থেকে নিখোঁজ ফারদীন। তাকে শেষবার দেখা যায় রামপুরা ব্রিজ এলাকায়। শুক্রবার রাত পৌনে ১১টা থেকে ১১টার মধ্যে সেখানে অবস্থান করছিলেন তিনি। সেখান থেকে তার বুয়েটের হল কিংবা বাসায় ফেরার কথা। কিন্তু তিনি আর ফেরেননি।

এরপর পুলিশ ও পরিবারের পক্ষ থেকে পলাশের সন্ধানে খোঁজখবর নেওয়া হলেও সন্ধান মিলছিল না। অবশেষে তিন দিন পর গতকাল সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে শীতলক্ষ্যা নদীর বনানীঘাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।

ফারদিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তার বাবা দাবি করলেও পুলিশ এখনো সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না। পুলিশ বলছে, মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে ফারদিনের এক ছেলেবন্ধু ও এক বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার বান্ধবী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। চার বছর ধরে তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের দিন ফারদিনের মুঠোফোনের শেষ অবস্থান ছিল ঢাকার কেরানীগঞ্জে। পুলিশ সিসি ক্যামেরার কয়েকটি ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করেছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com