মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
প্রিস্টিনা: দক্ষিণ উইরোপের দেশ কসোভো ২০১৫ সালে প্রতিবেশী দেশ মন্টেনিগ্রোর সঙ্গে সীমান্ত চিহ্নিতকরণ চুক্তি করেছিলো। চুক্তিটি অনুমোদন করা হবে কিনা, তা নিয়ে বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে আালোচনা হয়।
বিতর্কের একপর্যায়ে বিরোধী আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্ট কক্ষের ভেতর টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে মারেন।
কসোভোর বিরোধী দল সেল্ফ-ডিটারমিনেশন মুভমেন্ট পার্টি বুধবার পার্লামেন্ট অধিবেশনের মধ্যে হঠাৎ করে একের পর এক টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করতে থাকে।
এ সময় টিয়ারগ্যাসে গোটা পার্লামেন্ট ভবন আচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং পার্লামেন্ট সদস্যরা অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন। তবে শেষ পর্যন্ত স্পিকারের অনড় অবস্থানের কারণে ১২০ আসনের পার্লামেন্টে বুধবার বিলটির ওপর ভোটাভুটি হয় এবং চুক্তিটি ৮০-১১ ভোটে অনুমোদিত হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা পাওয়ার জন্য কসোভোকে দু’টি শর্ত দেয়া হয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে, মন্টেনিগ্রোর সঙ্গে সীমানা নির্ধারণের চুক্তি চূড়ান্ত করতে হবে এবং সার্বিয়ার সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে হবে।
সার্বিয়া থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া মুসলিম দেশ কসোভোর স্বাধীনতাকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি সার্বিয়া। তবে মন্টেনিগ্রো কসোভোর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়ে সীমান্ত নির্ধারণের চুক্তি অনুমোদন করেছে।
কিন্তু কসোভোর বিরোধীদল ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি এই বলে প্রত্যাখ্যান করেছে যে, এ চুক্তির মাধ্যমে দেশটির বিশাল এলাকা মন্টেনিগ্রোকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য কসোভোর বিরোধীদলের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
গত তিন বছর ধরে কসোভোর বিরোধী দল পার্লামেন্টে এই বিল পাস ঠেকানোর জন্য আরো চারবার টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপসহ এ ধরনের অন্যান্য কৌশল অবলম্বন করেছে।