রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচজনকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
তবে ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের তিনজনের একটি ডুবুরি দল শুক্রবার (২৩ মার্চ) উদ্ধার কাজ শুরু করলেও রাত গভীর হয়ে যাওয়ায় নিখোঁজদের উদ্ধার না করেই কাজ স্থগিত করা হয়।
শনিবার (২৪ মার্চ) সকালে এখনো পর্যন্ত ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়নি বলে জানান রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল হক।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময় নৌকায় থাকা ১৪ জনের মধ্যে ৯ জন সাঁতার কেটে তীরে আসতে পারলেও অপর পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে ৯ জনই শীতলক্ষ্যার পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তারা রূপসীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া নিখোঁজদের ট্রলারযোগে খোঁজা হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রুপসী কাজীপাড়া এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে পাঁচজন নিখোঁজ হন।
নিখোঁজরা হলেন- রাজধানীর কদমতলী থানার দক্ষিণ দনিয়ার আজিজুল মিয়ার ছেলে কারখানা শ্রমিক লতিফ (১৮), পূর্ব ধোলাইরপাড় এলাকার রবিউল মিয়ার ছেলে টেইলার্স শ্রমিক শরীফ (২৮), একই এলাকার নাসিরউদ্দিনের ছেলে জুতা ব্যবসায়ী তুষার (২৬), জয়নাল মিয়ার ছেলে নাট বল্টু ব্যবসায়ী বাবু (২০) এবং রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার বরপা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে জসিম (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তারাব পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হামিদুল্লাহ জানান, রাজধানীর ডেমরা থেকে ১৪ জনের একদল যুবক একটি নৌকা ভাড়া নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঘুরতে আসেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রূপসী কাজীপাড়া এলাকার শীতলক্ষ্যার মাঝামাঝি গেলে একটি বালুবাহী বাল্কহেড পেছন থেকে ওই নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় নৌকায় থাকা ১৪ জনের মধ্যে ৯ জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। আর নিখোঁজ হন পাঁচজন।