মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে খাদে পড়েছে এক যাত্রীবাহী বাস। এ ঘটনার বিষয়ে বর্ণনা দিচ্ছিলেন বাসের যাত্রী মহারাজ খাঁ।
এ সময় তিনি বলেন, ‘চলতে চলতে দেখলাম হঠাৎ গাড়ি বামে মোড় নিছে। এ সময় যাত্রীরা চিৎকার শুরু করে। এরপর গাড়ি উল্টে গেল। এরপর আমার আর কিছুই মনে নাই। বাস কতবার উল্টাইছে নিজেও বলতে পারি না। এরপর বাস খাদে পড়ে যায়।’
রোববার (১৯ মার্চ) সকালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মহারাজ খাঁ (৩০) খুলনা থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসে করে ঢাকা যাচ্ছিলেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী হালিমা আক্তার। খুলনা থেকে রোববার ভোর ৪টার পরে ছেড়ে আসে ইমাদ পরিবহনের বাসটি।
হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোর চারটার দিকে খুলনার ফুলতলা থেকে বাসটি ছাড়ে। পরে ভোর ৫টা ৫ মিনিটে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হয়। বাসটির চালক সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি রেলিং ভেঙে পল্টি খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। সকাল নয়টা পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থায়ীয় উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, বাসটি ভরা যাত্রী ছিলেন। সড়ক থেকে বাসটি পড়ার সময় ডিগবাজি খায়। এ কারণে এত প্রাণহানি।
উদ্ধারকর্মী চন্দন রায় বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে এর আগেও বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পড়েছে। কিন্তু এবারই প্রথম বাস খাদে পড়ে ১৭ জন মারা গেছেন। এক্সপ্রেসওয়েতে চালকেরা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালান, যা এখানে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক জানান, নিহতের সংখ্যা প্রায় ১৭ জন। হতাহত বহু রয়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে।