নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর সদরঘাট থেকে ছাড়া সব যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল ও মোটরসাইকেল পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে দেশের অন্যান্য নদী বন্দর থেকে সদরঘাটে আগত নৌযানেও মালামাল ও মোটরসাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখতে হবে। ঈদের আগে পাঁচ দিন, পরের পাঁচ দিন ও ঈদের নিয়ে মোট ১১ দিনের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আয়জিত সভায় কর্মপন্থায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, আগামী বুধবার থেকে পরের মঙ্গলবার পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পঁচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতিত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। রাতের বেলায় সব প্রকার বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। আগামী ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দিনরাত সার্বক্ষণিক সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।এ ছাড়া লঞ্চ ও ফেরির সব কর্মীদের নির্ধারিত পোষাক পরতে হবে। লঞ্চে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি রাখতে হবে এবং সেগুলো যাত্রীদের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে। প্রত্যেক লঞ্চে প্রশস্ত সিঁড়ি এবং সিঁড়ির দু’পাশে মজবুত রেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করতে পারে সেই বিষয়টিও খেয়াল রাখবে। একই সঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া যেন আদায় না করতে পারে সে জন্যও নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।
এদিকে নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণকে যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর হটলাইন নম্বরে (১৬১১৩) যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।