বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপিকে পরাজিত করে আবারো সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সাল হবে বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পরাজয়ের বছর।
ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার মাস আগামী মার্চেই ছাত্রলীগের সম্মেলন দেখতে চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন মার্চের কত তারিখ সম্মেলন করবেন। তবে নেত্রীর ইচ্ছা আগামী মার্চ মাসে সম্মেলন হোক। মার্চে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্রলীগের নেতারা সম্মেলন দিয়ে পদ না ছাড়লে আওয়ামী লীগে তোমরা জুনিয়র হয়ে যাবে। আমরা চাই আওয়ামী লীগে তরুণ নেতৃত্ব আসুক।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন নেতৃত্বে আসেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত বছরের ২৬ জুলাই এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও সম্মেলন কিংবা কাউন্সিলের আয়োজন এখনো হয়নি।
ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বের প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু কিছু নেগেটিভ দিক থাকতে পারে, তবে তাদের অর্জন অনেক। তিনি বলেন, কোনোভাবেই ছাত্রলীগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে দেওয়া হবে না। কেউ অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ছাত্রলীগকে আরো সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত হতে হবে। গুটি কয়েকের জন্য সরকারের অর্জন ম্লান হতে পারে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা ৪ তারিখের পরিবর্তে ৬ তারিখ করা হয়েছে। আমি ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা জনগণের দুর্ভোগ ও ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ছুটির দিনে শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে সমাবেশে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। এর আগে সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ছাত্রলীগের শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, মত্স ভবন, কাকরাইল মোড়, বিজয়নগর, পল্টন মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।