রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: নৌকায় ভোট দিলে সোনার বাংলা উপহার দেবো বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই উন্নয়ন হয়।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের কাজই হলো জনগণের কল্যাণ করা। অন্যদিকে জনগনের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে ঠাকুরগাঁও আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রত্যেক উপজেলায় অবকাঠামো থেকে শুরু করে সব কিছু উন্নয়ন করা হচ্ছে। বয়স্ক ভাতা দিয়েছি- যা আওয়ামী লীগ চালু করেছে, আর কেউ দেয়নি।
শিক্ষাখাতের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, শিক্ষাখাতের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে জানুয়ারির ১ তারিখে বেই তুলে দেও হচ্ছে। ১ কোটি ৩০ লাখ মাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। প্রত্যেক উপজেলায়, প্রত্যেক স্কুল-কলেজে কাজ করছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কথা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবো- করেছি। ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৩ কোটি মানুষ মোবাইলের সিম ব্যবহার করে। দেশে ৫ হাজার ২৭৫ টি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছি। সেখান থেকে সব তথ্য পাওয়া যায়। গ্রামে গ্রামে গিয়ে তথ্য আপারা কাজ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশ ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা-অর্থনীতি-জীবনমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনে বিশ্ব স্বীকৃতি পয়েছি আমরা। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশকে উন্নত বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারযোগে ঠাকুরগাঁও পৌঁছেন। পরে বেলা তিনটার দিকে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড়মাঠের জনসভায় ভাষণ দেন শেখ হাসিনা।
জনসভায় অংশ নিতে সকাল থেকেই ঠাকুরগাঁওসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলা থেকেও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বড়মাঠে আসতে শুরু করে। ট্রাক, মিনিবাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে ও হেঁটে জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে এবং বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নেচে-গেয়ে জনসভায় আসেন মানুষ।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরগাঁওয়ে আগমন উপলক্ষে পুরো শহর ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও রঙিন আলোয় সাজানো হয়। শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সুসজ্জিত করে গোলচত্বর সাজান দলীয় নেতাকর্মীরা। এক কথায় প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। কমতি ছিল না নিরাপত্তা ব্যবস্থারও।