শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১২:১৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শেখ এশিয়া লিমিটেডের জায়গা-জমির কিছু অংশ জোর পূর্বক দখল করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বেনজীর দোষী সাব্যস্ত হলে দেশে ফিরতেই হবে: কাদের কথা, কবিতা,সংগীত ও নৃত্যে রবীন্দ্র -নজরুল জয়ন্তী ১৪৩১ উদযাপন ডেঙ্গু : মে মাসে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৪৪ প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হতে পারে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা ফখরুল ইসলাম প্রিন্স নওগাঁর মান্দায় নিয়ম-বহির্ভূত রেজুলেশন ছাড়াই উপজেলার একটি প্রাথমিক স্কুলের টিন বিক্রির অভিযোগ আর্তনাদ করা সেই পরিবারের পাসে IGNITE THE NATION ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত শরণখোলা ও সুন্দরবন নওগাঁর শৈলগাছী ইউনিয়ন পরিষদের ২০২০০৪-২০২৫ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা নরসিংদী মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যা
যে প্রাঙ্গণ মন ভালো করে দেয়

যে প্রাঙ্গণ মন ভালো করে দেয়

নিজেস্ব প্রতিবেদন: ময়মনসিংহের টাউন হল মোড় থেকে কয়েক কদম এগোতেই চোখে পড়ে মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের মূল ফটক। ভেতরে ঢুকতে চাইলে শুরুতেই নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হলো। মেয়েদের কলেজ বলে নিরাপত্তার কিছুটা কড়াকড়ি আছে। তা ছাড়া ভেতরে ছাত্রীদের জন্য আছে দুটি আবাসিক হল। তাই ছেলেদের ঢোকা একরকম নিষেধ।

পরিচয় দেওয়ার পর অনুমতি মিলল। নিরাপত্তাকর্মী হেসে জানালেন। আন্তরিকতার সঙ্গেই নিয়ে গেলেন অধ্যক্ষ মো. আবু তাহেরের কার্যালয়ে। কলেজ নিয়ে নিজের ভাবনা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, নানা কিছু নিয়ে কথা বললেন অধ্যক্ষ। এরপর কলেজটা ঘুরে দেখারও সুযোগ হলো।

ভেতরটা ঘুরে বোঝার উপায় নেই, এই কলেজ ময়মনসিংহ শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে। ভেতরে যে এত গাছপালা আছে, বাইরে থেকে বোঝাই যায় না। সবুজ পরিবেশ নিশ্চয়ই শিক্ষার্থীদের মন ভালো করে দেয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী ময়মনসিংহ অঞ্চলের সেরা ৮ কলেজের একটি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ। উচ্চমাধ্যমিকেও রয়েছে নজরকাড়া সাফল্য। ২০২২ সালে ৯৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯৬৪ জন, যাঁদের মধ্যে জিপিএ–৫ পাওয়া ছাত্রীর সংখ্যা ৬৯৬। উচ্চমাধ্যমিক ছাড়া ১৩টি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সব মিলিয়ে মুমিনুন্নিসায় পড়েন প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী।

কলেজ ক্যাম্পাসেই প্রীতি সাহা, জাকিয়া তানজিম, আফসানা মিমি, ফাতেমা মাহ্জাবীন আর তাবাসসুম ঝরার সঙ্গে আড্ডা হলো। সবাই ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। জানতে চাইলাম, ক্যাম্পাসের কোন বিষয়টি তাঁদের সবচেয়ে বেশি টানে? তাবাসসুমের চটজলদি উত্তর, ‘পরিবেশ! পরিবেশ বলতে আমি দুইটা দিকের কথা বলব। এই যে আমরা শহরের মধ্যে এমন একটা নিরিবিলি জায়গা পাই। কলেজে ঢুকতেই মনে হয় সব প্রশান্তি এখানেই। আবার একইভাবে আমাদের কলেজের একাডেমিক পরিবেশটাও ভালো। আমাদের সঙ্গে শিক্ষকদের সম্পর্কটা খুব আন্তরিক। সবার মধ্যে ভালো করার একটা তাড়না দেখা যায়। এই বিষয়টা আমার খুব ভালো লাগে।’

আবাসিক হল দুটিতে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরাও থাকার সুযোগ পায়, তবে তারা সংখ্যায় কম। বেশির ভাগই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। কথা হলো অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী সুমাইয়া সুইটির সঙ্গে। তিনি থাকেন তাপসী রাবেয়া হলে। সুইটি বলেন, ‘সত্যি বলতে হল আমার কাছে দ্বিতীয় বাড়ির মতো। আমাদের কলেজের হলের রুমগুলো একটু বড়, আমরা ছয়জন করে এক রুমে থাকি। কিন্তু সবার মধ্যে যেহেতু বেশ আন্তরিকতা আছে, তাই কষ্ট হয় না। আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা আরও ভালো হয়। ক্যাম্পাসের পরিবেশ নিরিবিলি হওয়ার কারণে এখানে পড়াশোনায় মন দেওয়া সহজ। আর একটা কথা বিশেষ করে বলতেই হয়, সেটি হলো নিরাপত্তা। আমাদের আবাসিক হলগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা এত ভালো যে এসব নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা করতে হয় না।’

শুধু একাডেমিক ক্ষেত্রেই যে কলেজটি ময়মনসিংহ অঞ্চলে নেতৃস্থানীয়, তা না। কলেজের ভেতরে আছে সাংস্কৃতিক ক্লাব, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরে অংশগ্রহণের মতো সহশিক্ষা কার্যক্রমের সুযোগ। এসব কার্যক্রম সরাসরি তত্ত্বাবধান করেন শিক্ষকেরা। ফলে বিতর্ক থেকে শুরু করে যেকোনো সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা কিংবা খেলাধুলা—সব জায়গায়ই মুমিনুন্নিসা কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান বেশ ভালো।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের কলেজটি এখনো বেশ ভালো অবস্থানে আছে। কিন্তু ভালোর তো শেষ নেই। এ অবস্থান থেকে কীভাবে আরও ভালো করা যায়, আমরা সেই চেষ্টা করছি।’

কয়েক বছর ধরে সারা বিশ্বের ১০০ উদীয়মান ব্যক্তির তালিকা (টাইম হানড্রেড নেক্সট) প্রকাশ করে আসছে টাইম। ২০২৩ সালের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন মার্কিন গায়িকা কেলসি বেলেরিনি। শুধু গায়কিই নয়, গানের কথার জন্যও ৩০ বছর বয়সী এই তারকার সুনাম আছে। কেমন করে লেখালেখির ভূত তাঁর মাথায় ভর করল?

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com