রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদন: নোয়াখালী সদর উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গৃহপালিত পশু গরু চুরির ঘটনা বেড়েছে। সংঘবদ্ধ চোরেরদল প্রায় কোন না-কোনো এলাকায় গরু চুরি করছে। সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়ন থেকে ৪টি গরু চুরি হয়েছে। গরুচোর চক্রের অপতৎপরতায় গৃহস্থদের মধ্যে চুরির আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামের ইদ্রিস সারেং বাড়িতে এই গরু চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া গরুর মালিক মো.স্বপন ও সাহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের বাড়ির উঠানের ওপর নির্মিত গোয়াল ঘরে প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর আমাদের পালিত ৪টি গরু (গাভী একটি, বকনা ২টি ও বাছুর ১টি) রেখে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। রাত সাড়ে ৩টার দিকে গরুগুলো মশার কামড়ে লাফালাফি করার আওয়াজ পেয়ে গরুর ঘরে মশার কয়েল দিয়ে আসি। পরবর্তীতে বুধবার ভোরবেলায় ওঠে দেখি গোলাল ঘরে গরুগুলো নাই, কে বা কাহারা চুরি করে নিয়ে গেছে। চুরি হওয়া গরুগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হবে।
পরে খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানার এসআই ত্রিদীপ বড়ুয়াসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গেল বছরের ২৫ নভেম্বরও জেলা সদরের নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ঢাকা মালিবাগ সিআইডি বিশেষ শাখার এএসপি মো. কামাল উদ্দিনের ৩টি বড় জাতের গরু চুচি হয়। পরের দিন ২৬ নভেম্বর রাতে মাইজদী পাবলিক কলেজের প্রভাষক এএইচএম রেদোয়ান ফারুকের খামার থেকে ৪টি গাভী নিয়ে যায় চোরেরদল। এর কয়েকদিন আগে পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে ওলেমান তার পালিত একটি বকনা গরু বাড়ির সামনের সড়কের পাশে বেঁধে বাড়িতে যায়। দুপুরের দিকে তার গরুটি চুরি হয়ে যায়। ওই সময় সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান স্বপনের বাড়ি থেকেও ৪টি বড় গরু চুরি হয়ে যায়। এসব গরু চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেও গরুগুলোর কোন হদিস মেলেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি গরু চুরির ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, চরউরিয়ায় গরু চুরির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ এসেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পূর্বের গরু চুরির কিছু সংবাদ পেয়েছি এবং দু-একটি মামলাও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।