সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
নি্উজ ডেস্ক : যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপ বন্ধ করতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
রাশিয়ান একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাদের “মূল উদ্দেশ্য রাশিয়া থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেয়া।”
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার অভিযোগে রুশ কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবী করছে যুক্তরাজ্য।
প্রতিক্রিয়া হিসেবে এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে যে বৃটিশ রাজপরিবারের কোনো সদস্য বিশ্বকাপে যাবে না। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এই বিশ্বকাপকে নাৎসি জার্মানিতে হওয়া ১৯৩৬ সালের অলিম্পিক গেমসের সাথে তুলনা করেছেন। একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য বিশ্বকাপ স্থগিত করারও দাবী জানিয়েছেন।
তবে ইংল্যান্ড দল বিশ্বকাপ বয়কট করবে কিনা তা নিয়ে এখনো কোনো কিছু জানা যায়নি।
৪ঠা মার্চ সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে সোভিয়েত আমলের নার্ভ এজেন্ট দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যুক্তরাজ্য থেকে ২৩জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে যুক্তরাজ্য সরকার। এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া থেকেও ২৩জন বৃটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে রুশ কর্তৃপক্ষ।
এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে একশোরও বেশী রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে সেসব দেশের সরকার। সবচেয়ে বেশী ৬০ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার ১৭০ জন রুশ কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ওয়াশিংটন ছাড়েন।
একই সময়ে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের আমেরিকান দূতাবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা নামিয়ে নেয়া হয়। রুশ সরকার ঐ দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কি বলেছেন?
রাশিয়ার চ্যানেল ফাইভ টিভির সাথে কথা বলার সময় মারিয়া জাখারোভা বলেন, “আমার মনে হয় তারা রাশিয়া থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে নিতে চায়।”
“তারা যে কোনো পন্থা অবলম্বন করবে রাশিয়া থেকে ফুটবল বিশ্বকাপ অন্যত্র সরিয়ে নিতে ”
স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
স্ক্রিপাল গুরুতর অসুস্থ থাকলেও তার মেয়ে এখন কথা বলতে পারছেন বলে বলা হচ্ছে।
এর আগে কি হয়েছে?
প্রায় একমাস যাবত এই রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ নিয়ে বিতর্ক চলছে।
যুক্তরাজ্য বলছে, তারা নিশ্চিত যে এই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, স্নায়ুযুদ্ধের সময় যেমন বৈশ্বিক পরিস্থিতি ছিল বর্তমান অবস্থা অনেকটা সেদিকেই যাচ্ছে।
রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ রাশিয়া শুরু থেকেই অস্বীকার করছে।
তারা বলেছে, এ বিষয়ে সত্য উদঘাটনের উদ্দেশ্যে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণের আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতাদের সাথে বৈঠক করবে তারা।