মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর নতুন উপ প্রেস সচিব নিযুক্ত করা হচ্ছে বিশিষ্ট কলামিস্ট ফখরুল ইসলাম প্রিন্সকে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম হেলাল মারা গেছেন গত ১০ মার্চ। তারপর থেকেই পদটি শূন্য ছিল। অনেক কল্পনা কল্পনার পর বিশিষ্ট সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানকে প্রেস সচিব করা হয়েছে এবং উপ প্রেস সচিব হিসাবে নিয়োগ পাচ্ছেন ফখরুল ইসলাম প্রিন্স।
১/১১র’ রাজনৈতিক চরম দুঃসময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একমাত্র কান্ডারী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বিশ্বস্ত সৈনিক। ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার কৃতি সন্তান ফখরুল ইসলাম প্রিন্স গত তিনবার পরপর আওয়ামী লীগ ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য ছিলেন।
বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক দলের যেমন অভাব নেই, নেতা-নেত্রীদেরও তেমন কমতি নেই। দু‘দিন কোন দলীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করলে, গাছের মাথায় নেতা-নেত্রীর সাথে ছবি টাঙগালে, কোন জনপ্রতিনিধির পেছনে মিছিল করলে-শ্লোগান দিলে, অমুক ভাই-তমুক ভাইর সাথে সেলফি তুলে ফেইসবুকে দিয়েই একেকজন নেতা বনে যান। শুধু নেতাই নন, তারা জননেতা, জনতার নেতা, গণ মানুষের নেতা, সমাজ গড়ার কারিগর, উন্নয়নের বরপূত্র নানান খেতাবে ভূষিত হতে থাকেন। আসলে রাজনৈতিক বিবেচনায় এগুলো পাপতুল্য। তথাকথিত কিছু রাজনীতিবীদ নামধারি জ্ঞানপাপীদের উদাসীনতা আর দল ভারীর অসুস্থ্য প্রতিযোগিতার ফলে প্রকৃত রাজনৈতিক নেতাদের পবিত্র খেতাবগুলো আজ বাজারের সস্তা পণ্যের কাতারে সামিল হয়েছে।
যারা যুগে যুগে জননেতা হয়েছেন, গণ মানুষের আস্থার ঠিকানা হয়েছেন তাদের ইতিহাস অনেক লম্বা, অবর্ণনীয় ত্যাগ-তিতিক্ষার। সে সকল নেতারা কখনো বিপ্লবী ধারায় দখলদার হঠানোর লড়াইয়ে জীবন বাজি রেখেছেন। আবার কখনো পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্তির জন্য মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে সংগ্রাম করেছেন। জনমত তৈরী করতে গিয়ে জেল-জুলুম, নির্যাতন ভোগ করে নিপীড়িত মানুষের মাঝেই মিশে গেছেন। এখনো দেশে এমন অনেক নেতা রয়েছেন যাদের হৃদয় মন্দিরে শুধু বঞ্চিত মানুষের কল্যানে সাম্যের সুর ধ্বনিত হয়। শৈশব থেকেই তারা পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে মানবতার জয়গানে নিজেকে উৎসর্গ করেন। এমনই একজন ব্যক্তিত্ব ফখরুল ইসলাম প্রিন্স।
তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা, রাজনৈতিক বা দলীয় বড় কোন পদ বা আর্থিক সক্ষমতা না থাকলেও অনেক বড় আশ্রয় করে নিয়েছেন গণ মানুষের অন্তরের গহীনে। তৃণমূল থেকে রাজপথ, যেখানেই যাবেন দলে দলে অসহায় নিঃস্ব মানুষেরা এসে ভীড় জমান এমন নেতাদের ঘিড়ে। নিষ্পেশিত মানুষের সুখ-দুঃখের কথায় মনোনিবেশ করেন গভীর নিমগ্নতায়। দুখী মানুষের সমস্যা ঘোচাতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন নিজের শেষ সামর্থটুকু দিয়ে। বার বার অলংঘনীয় জীবন ঝুঁকিতে পরেও কোন অবস্থাতেই তারা জনতার ভালবাসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে পারেননা । মৃত্যুভয় কখনো তাদের তাড়া করেনা। অসুর শক্তির বন্দুকের নিশানা থেকে বারংবার বেঁচে এসে তারা হয়ে উঠেন মৃত্যুঞ্জয়ী। আর সে কারনেই এমন সব নেতা বা ব্যক্তিকে লাখো মানুষ মনের অজান্তেই খেতাব তুলে দেন জননেতা বা গণ মানুষের নেতা নামে। আর এমনটি এক দিনে, এক বছরে, এক দশকেও সম্ভব হয় না। যুগের পর যুগ একজন জননেতা হয়ে উঠেন অযুত মানুষের আরাধ্য পুরুষ।
এধরনের নেতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট বা গুন খুঁজতে খুব দুরে যেতে হয় না, কোন ভিন গ্রহেও হাত বাড়াতে হয় না। আমাদের দৃষ্টির খুব সন্নিকটে, হাতের বেশ নাগালেই খুঁজে পাওয়া যায় একজনাকে। যিনি আর কেউ নন, তিনি ফখরুল ইসলাম প্রিন্স। প্রকৃত অর্থেই তিনি জননেতা, জনতার নেতা, গণ মানুষের নেতা, হাজারো অসহায়ের ভরসারস্থল, লাখো জনতার আরাধ্য পুরুষ, বঞ্চিত-নিপীড়িতের সূহৃদ-স্বজ্জন, দুস্থ্য-অবহেলিতের আশার বাতিঘর, মুজিবাদর্শের লড়াকু সৈনিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার পরম বিশ্বাসের অদম্য সাহসী এক ত্যাগী সিপাহী। একজন আদর্শবান পিতার সুযোগ্যতম সন্তান। সুখে-দুখে, রাত্রি-দিবসে, দুর্যোগ-দুঃসময়ে হাজারো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নিবেদিত বন্ধু। বিত্ত-বৈভব, সম্পদের মোহ, অবৈধ উপার্জন, বিলাসী জীবন কিছুই যাকে স্পর্শ করেনা এমন এক দেবতুল্য মানবিক নেতা, মানতার ফেরিওয়ালা। সব বয়সের, সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের “প্রিয় মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভাই।
এদশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এখন চিরায়ত নিয়ম হয়ে গেছে, কোন রাজনৈতিক নেতা ক্ষমতা পেলেই পাল্টে যান। পাল্টায় তার বেশ-ভূষন, চাল-চলন, খাবার মেনু, বন্ধুত্বের তালিকা, শোবার ঘর, আসবাব, ড্রয়িং রুম, গাড়ির মডেল, সামাজিক ও পারিবারিক জীবন, আচার-আচরণ, চশমার ফ্রেম, চলার পথ, কথা বলার ভঙ্গি এমনকি আত্মীয়তাও। অনেককে ক্ষমতার মোহ বৈধ-অবৈধ পন্থায় কাড়ি কাড়ি টাকা কামানোর নেশায় বুদ করে রাখে। কেউ কেউ জাত-বিজাতের হিসেব ভুলে দলীয় আদর্শের পৃষ্ঠমূলে কুঠারাঘাত করে সামান্য ভিক্ষা কুড়ানোর লোভে অনাদর্শের দাশ হয়ে যান। ক্ষমতা অনেককে এমনই এক উম্মাদ বানিয়ে তোলে কিছু চামচা-চাটুকার পোষন করে তাদের মাধ্যমে দরিদ্রের হক আত্মসাতেও দ্বিধা করেন না।
আবার কেউ কেউ আছেন, যাদের এক সময় চৌকিদারী ট্যাক্স পরিশোধের সক্ষমতা ছিলনা ক্ষমতায় গিয়ে তাদের সন্তানদের অবৈধ রুজির পয়সায় উন্নত দেশের শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ করে দিয়ে মহা তৃপ্তির ঢেকুর তুলেন। হঠাৎ ক্ষতাবান হয়ে অনেকেই আছেন যাদের কাছে জরুরী দরকারে আসা ভুখা নাঙ্গা মানুষদের ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রেখে স্ত্রী-সন্তানের প্রশংসার গীতি কবিতা শুনিয়ে মুগ্ধ করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। আবার কখনো দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাবা-দাদাকে ঘোড়ায় চড়িয়ে ১২ ভূঁইয়াদের এক ভূইয়া বানানোর মিথ্যে রূপকাহিনী শুনিয়ে অত:পর “তন্দ্রাদেবীর কোলে ঢলিয়া পরিয়া কুসুম কুসুম নিদ্রার হাই তুলিয়া বলিয়া উঠেন, রাত্রি বুঝি পোহাইয়া গেলগো, তোমরা বরং কিয়ৎকাল বাদেই আসিও, আমার শুধাইবার আরো বহুধা কথন অসমাপ্ত রহিয়া গিয়াছে” (ধিক জানানোর মত এমন লোকেরাও এদেশে এখন জননেতা) !
একেবারে অতি সাধারণ মানুষের মতই এখনো তার চলাফেরা। তিনি সাধারণ মানুষের জীবন চিত্র প্রত্যক্ষও করেন নিজে নিয়মিত। রাস্তার পাশে কাজ করা শ্রমজীবী নারী-পুরুষদের সাথে মিশে যান শিশুর মত। তাদের কথা শুনেন মন দিয়ে। কখনো কারো অতি অসহায়ত্বের কথা জানলে সন্তোষজনক আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন তৎক্ষনাত।