বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন
আটক শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিসহ তিন দাবি মেনে নেয়া না হলে ‘বাংলা ব্লকেড’ এর চেয়েও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্মটির সমন্বয়ক দাবি করে শনিবার (২৭ জুলাই) রাত ৮টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সংবাদ সম্মেলন করেন আব্দুল হান্নান মাসউদ। যদিও আন্দোলনের শুরু থেকে তাকে তেমন একটা বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে আরো যুক্ত ছিলেন সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও সহসমন্বয়ক রিফাত রশীদ। এখন পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব ঘটনার দায় সরকারকেই নিতে হবে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান আব্দুল হান্নান মাসউদ। এরইমধ্যে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘কয়েকজন সমন্বয়ককে চিকিৎসারত অবস্থায় তুলে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে।’
মাসউদ আরো বলেন, ‘আমরা তিনটি বিষয় স্পষ্ট করছি। এর আগে ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির পর সেটি ৬ বছরও টেকেনি। তাই পরিপত্র-পরিপত্র খেলা বন্ধ করে স্টেকহোল্ডারদের, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি স্বাধীন স্থায়ী কমিশন গঠন ও কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আইন পাস করতে হবে।’
‘পুলিশ কনস্টেবল থেকে মন্ত্রী- যতজন শিক্ষার্থী হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের অব্যাহতি দিয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং যতজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তাদের মামলা প্রত্যাহার করে গুম ও আটক শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে।’ তা না হলে ‘বাংলা ব্লকেড’ এর চেয়েও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, আন্দোলনের মূল দাবি মেনে নেয়া হয়েছে বলে প্রচার করছে সরকার। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল কমিশন গঠন করে এই সংকটের সমাধান করা। কিন্তু সেটি করা হয়নি বলেই আমরা এই পরিপত্র প্রত্যাখ্যান করছি।
অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারসহ সমন্বয়কদের গ্রেপ্তার ও মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরো দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের ‘হেফাজতে’ নিয়েছে। এনিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পাঁচজন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বা ডিবির ‘হেফাজতে’ রয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।