সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানান, নাসরুল্লাহকে হত্যার সিদ্ধান্ত গত সপ্তাহে নেয়া হয়েছিল। কারণ শীর্ষ নেতারা শঙ্কিত ছিলেন, তিনি স্থান পরিবর্তন করতে পারেন। সেই সময় ইসরায়েলের নেতারা লেবাননে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। আলোচনা শেষে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে চলে যান।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে লেবাননে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর মধ্যে গত শুক্রবার রাতভর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ব্যাপক হামলা চালানো হয়। এতে হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন বলে দাবি করে ইসরায়েল। পরে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
জানা গেছে, নাসরুল্লাহকে হত্যা করতে শুক্রবার রাতে কয়েক মিনিটের মধ্যে ৮০টির বেশি বোমা ফেলা হয়েছিল। তবে বোমাগুলো কী ধরনের বা কত ওজনের ছিল, তা নিশ্চিত করা যায়নি।
প্রসঙ্গত, অনেক বছর ধরে নাসরুল্লাহ সরাসরি জনসমক্ষে আসতেন না। ৬৪ বছর বয়সী এই নেতা বিভিন্ন সময়ে টিভিতে দেওয়া ভাষণে অনুসারীদের বার্তা দিতেন। মধ্যপ্রাচ্যের জন্য হুমকি উল্লেখ করে তিনি ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিতেন।