রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইল থেকে মো: রুবেল মিয়ার প্রতিবেদন:
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে বাংগুড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার আজমল হোসেন খান এর বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, মৃত শিক্ষকের নামে টাকা উত্তোলন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগগুলো স্থানীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্রোধের সৃষ্টি করেছে, যার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার (৮ অক্টোবর) বাংগুড়ী দাখিল মাদ্রাসায় মাঠে মানববন্ধনের মিছিল আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে স্থানীয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকার বাসিন্দারা অংশগ্রহণ করেছেন। মানববন্ধন চলাকালীন, অংশগ্রহণকারীরা সুপারে পদত্যাগ অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। মানববন্ধনের তাঁরা স্লোগান দেয় সুপার এ পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন জোরদার করেন।
এক সময় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর দাবির মুখে মাদ্রাসার সুপার একটি সাদা কাগজে পদত্যাগ পত্র লিখে,মাদ্রাসা থেকে চলে যান,এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় মাদ্রাসার সাবেক কমিটির সভাপতি শ্রমিকলীগ নেতা শাহীনের যোগসূত্রে মাদ্রাসার সুপারে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, মৃত শিক্ষকের নামে টাকা উত্তোলন,কাউকে না বলে মাদ্রাসার পুরাতন ঘর বিক্রি,গাছ বিক্রি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম করেন, বাংগুড়ী দাখিল মাদ্রাসা স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এখানে শিক্ষার্থীরা ইসলামী শিক্ষা সহ সাধারণ শিক্ষাও লাভ করে থাকে। মাদ্রাসার সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, পুরো সম্প্রদায়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতি ও অনিয়ম মাদ্রাসার সুনামহানি করে এবং শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এলাকায় রাজু আহম্মদ নামের এক অভিভাবক বলেন, এই বাংগুড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জড়িত সে মৃত শিক্ষককে জীবিত দেখিয়ে তার টাকা উত্তোলন করে খেয়ে ফেলেন।
মাদ্রাসার পুরাতন ঘর কোন টেন্ডার ছাড়াই তাহার ইচ্ছা মত বিক্রি করে ফেলেছেন।তিনি মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি শাহিনের সাথে যোগ সূত্রে এসব দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছেন,কিছু বললেই দলীয় ক্ষমতা দেখায়।
আরেক অভিভাবক রুবেল মিয়া বলেন মাদ্রাসার সুপার আজমল হোসেন খান বিভিন্নভাবে অনিয়ম করে বেড়ায়,তিনি তাহার খুশি মত বিদ্যালয় আসা-যাওয়া করেন,তিনি বেশিরভাগ সময় উপস্থিত থাকেনা কিন্তু তিনি হাজিরা খাতায় ঠিকই স্বাক্ষর করেন।
নাম বলতে অনিচ্ছু কিছু শিক্ষার্থী বলেন স্যারের বেশি সময় মাদ্রাসা আসেন না, মাদ্রাসার স্যারের খেয়াল খুশিমত ছুটি দেয়।আমাদের লেখাপড়া দিকে তার কোন নজর নাই।আমরাই সবাই সুপারের পদত্যাগ চাই।
বাংগুড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার আজমল হোসেন খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এদিকে বাংগুড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার আজমল হোসেন খান মাদ্রাসায় থেকে চলে যান, যাবার পর মির্জাপুর থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে, ও অজ্ঞতা নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।