সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ১নং ইসলামপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হাদা চাঁনপুর ও পান্ডব গ্রামের মাঝে মরাগাং নামক মরা নদীতে ইজারাবিহীন স্থানীয় প্রভাবশালী বালুখেকো সোনাফর আলী, দিলাল আহমদ ও তারেক মিয়া গংদের বিরুদ্ধে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে প্রতিরাতে ৩০/৩৫টি স্ট্রীলবডি নৌকা দিয়ে ১৫/২০ লাখ টাকার বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করেও ছয়টি গ্রামের শত শত নারীপূরুষদের উপস্থিতিতে ইসলাম বাজার ব্রীজে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে এলাকায় কয়েক শতাধিক লোকজন অংশগ্রহন করেন। ইসলামপুর ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটির সদস্য নেছার আলীর সভাপতিত্বে ও স্থানীয় রিপন আহমদ রুপনের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস ছোবাহান, ফকির টিলা সোনালী চেলা সিএনজি স্ট্রেশনের সাবেক সভাপতি তেরা মিয়া, সদস্য শামীম আহমদ, আম্বিয়া বেগম, নুর জাহান বেগম, আব্দুল করিম, আবুল হোসেন , ছাতক সরকারী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আয়েছ আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এই ইউনিয়নের বালুখেকো পান্ডব গ্রামের মৃত হাছন আলীর ছেলে সোনাফর আলী,নেছার আলীর ছেলে দিলাল আহমদ,কুমারদানি গ্রামের মৃত আব্দুল মছব্বিরের ছেলে তারেক মিয়ার নেতৃত্বে শতাধিক শ্রমিক নিয়ে ৩০/৩৫টি স্ট্রীলবডি নৌকায় করে গত কয়েকমাস ধরে সরকারে রাজস্ব ফাঁিক দিয়ে রাতের আধাঁরের প্রতিরাতে ১৫/২০ লাখ টাকার ২০ হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে নদী তীরবর্তী এই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হাঁদা চানঁপুর,পান্ডব বীরেন্দ্রনগর, গিলাছড়া,নরসিংপুর এই ছয়টি গ্রামের পাশে মরা নদীতে ৫ হাজার পরিবার তাদের বসতবাড়ি মসজিদ ও একটি ব্রীজ হুমকি ও নদীভাঙ্গণের কবলে পড়ে বসতভিটা হারানোর শংঙ্কায় রয়েছেন বলে দাবি উপস্থিত লোকজনের। এছাড়া ও নামাংঙ্কিত ব্যক্তিরা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিরাতে প্রতি নৌকা থেকে গড়ে দুইহাজার টাকা করে চাদাঁ উত্তোলন করছেন বলেও দাবি তাদের। অবিলম্বে এই সব বালুখেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধ করে নদী তীরবর্তী ছয়টি গ্রামের লোকজনের বসতভিটা ,ব্রীজ ও মসজিদ রক্ষা করার জন্য বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বালুখেকো সোনাফর আলী, দিলাল মিয়া ও গৌছ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ইসলাম বাজারের মরা নদীর ব্রীজের নীচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও প্রশাসনের নামে প্রতি নৌকা হতে ১৫ শত থেকে ২ হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান এখানে কেউ বলছেন এই এরিয়াটা সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের মধ্যে আবার কেউ কেউ বলছেন ছাতকের সীমানায় রয়েছে। সম্প্রতি ঐ সমস্ত বালুখেকোদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে এবং কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তা তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।