বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বেলকুচিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদ অভিযান, ১৬২টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ঝিনাইগাতীতে “সৌরভ চত্বরের “মোড়ক উন্মোচনে বিতর্কিত ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়ে গুঞ্জন ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২৮ জন টানা বর্ষণে রূপগঞ্জে ত্রিশ গ্রাম জলাবদ্ধতায় প্লাবিত: লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি দুর্নীতির অভিযোগে ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ডে দুদকে-র অভিযান শেরপুর সীমান্তে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় মোবাইলের ডিসপ্লে জব্দ জালিয়াতি ও প্রতারণা করে তথ্য পাচারের অভিযোগে আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী অপহরণের আড়াই মাস পর উদ্ধার হাসনাত-সারজিস-জারাসহ ৫ নেতাকে শোকজ এনসিপির লালমনিরহাটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ডের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বেলকুচিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদ অভিযান, ১৬২টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়

বেলকুচিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদ অভিযান, ১৬২টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়

আশিকুল ইসলাম, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ):

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে প্রায় ১৬২টি অবৈধ দোকান ও স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

উচ্ছেদ অভিযানে কলেজ মোড় এলাকায় অবস্থিত ‘আইবুল মোটরস’ এর ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। একইসাথে বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান ও স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘মনোহারী দোকান’সহ অন্যান্য অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়।

এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, র‍্যাব-১২ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ উল্লাহ, বেলকুচি থানা পুলিশ এবং বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরিন জাহান উপস্থিত ছিলেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সরকারী জমি দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলোর কারণে নদী রক্ষা বাঁধ এবং পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এজন্য এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।”

তবে উচ্ছেদকৃত দোকান মালিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ইমন ট্রেডার্সের মালিক অভিযোগ করে বলেন, “আমার দোকান মাত্র ১ ফুট সরকারি জমিতে ছিল, কিন্তু অর্ধেকেরও বেশি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।”

অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত আরেক ব্যক্তি মনিরুল ইসলাম বলেন, “১৬২টি দোকান উচ্ছেদ হওয়ায় হাজারো পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়বে। পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা না করে এভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালানো মানবিক নয়।” তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান, “যাদের দোকান ভাঙা হয়েছে, তাদের নতুনভাবে জায়গা লিজ দিয়ে পুনঃস্থাপনের অনুমতি দেওয়া হোক, যাতে সরকার রাজস্ব পায় এবং ব্যবসায়ীরাও আবার জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।”

স্থানীয়রা জানান, উচ্ছেদ অভিযানের ফলে কিছু অংশে সঠিকভাবে নোটিশ দেওয়া হলেও, অনেক দোকানদার সময় না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে মানবিক বিবেচনায় দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com