শতাধিক আবেদিত রাজনৈতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত নতুন জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (NDF) আজ বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সম্মেলনে ফ্রন্টটির প্রতিনিধিরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন — দলীয় নিবন্ধন নাগরিকদের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার; কিন্তু বর্তমান প্রক্রিয়ায় নতুন দলগুলোর নিবন্ধন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং কিছু “কালো আইন” এই অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করছে, সেগুলো অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া লিখিত বিবৃতিতে ফ্রন্টটি আরও বলেছে যে, তারা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের নিজস্ব দলীয় ব্যানার ও প্রতীকে অংশগ্রহণের অধিকার দাবি করে; যদি তা না মঞ্জুর করা হয় তবে তারা সাধারণ জনগণের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দিয়েছে। বিবৃতিতে জোটটি দেশের ইতিহাস, ভূ-প্রকৃতি ও সামাজিক সংগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে ধরে নিজেদের সংকল্প ও নীতি-উদ্ধৃতি উপস্থাপন করেছে।
বিশেষ করে দলটি জোর দিয়ে দাবি করেছে—নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সহজ, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক হওয়া উচিত। গত কয়েক বছর ধরে নতুন রাজনৈতিক সংগঠনের নিবন্ধনে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপের অভিযোগ সংবাদ ও সমালোচনায় উঠে এসেছে; অনেকে এই বিধিনিষেধকে “কালো আইন” হিসেবে উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। এই ধরণের অভিযোগ ও দাবি পূর্বেও বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে উত্থাপিত হয়েছে।
ফ্রন্টটির বক্তব্যে বলা হয় — দেশের রাজনীতি এখন শুধুই কর্পোরেট বা ব্যবসায়িক স্বার্থে রূপান্তরিত হয়ে গেছে; জনগণের সার্বভৌম অধিকার, অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষা-চিকিৎসা ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা না হলে গণতন্ত্রের রক্ষা অসম্ভব। তারা বিভিন্ন সামাজিক-অর্থনৈতিক ইস্যুতে এখনও কেন্দ্রীয় রাজনীতির বেসামরিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুপস্থিত থাকতে উল্লেখ করেছেন এবং নতুন রাজনৈতিক কণ্ঠগোষ্ঠী হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই শূন্যস্থান পূরণ করাই তাদের উদ্দেশ্য বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফ্রন্ট সূত্র বলেছে যে আগামী দিনগুলোতে তারা কর্মকর্তাদের কাছে তাদের সংগঠনের পূর্ণ তালিকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম তদারকি করবেন এবং প্রয়োজনে গণঅবস্থান ও কর্মসূচি গৃহীত হবে। তারা নাগরিক-ভিত্তিক গণজাগরণ ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে সমর্থন সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।