বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চরাঞ্চলের জীবনমান উন্নয়নে কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গায় একটি সড়কেই বদলাতে পারে লক্ষাধিক মানুষের ভাগ্য ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা শুরু ঘিওরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি প্রার্থী ইলিয়াছ হুছাইন শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা পাচার হওয়া অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত আনতে ৪–৫ বছর লাগে: গভর্নর নরসিংদী জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় ‘আমাকে বিদায় দিতে দয়া করে কেউ এয়ারপোর্টে যাবেন না’ অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ : চার দিনে গ্রেপ্তার ২৪৩৩ গণভোটে ঠিক হবে নতুন বাংলাদেশের চরিত্র: প্রধান উপদেষ্টা

বেনজির হত্যার দায় স্বীকার করল তেহরিক-ই-তালেবান

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ৫৮৫

১০ বছর পর পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠী দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে হত্যার দায়

স্বীকার করেছে। সংগঠনটির এক শীর্ষ তালেবান জঙ্গি নেতা আবু মনসুরের লেখা একটি বইয়ে এ ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়।

বইটির নাম ‘ইনকিলাব মেহসুদ সাউথ ওয়াজিরিস্তান : ফ্রম ব্রিটিশ রাজ টু আমেরিকান ইমপেরিয়ালিজম’। লেখক তালেবানি জঙ্গি নেতা আবু মনসুর আসিম মুফতি। উর্দু ভাষায় লেখা ৫৮৮ পৃষ্ঠার এ বইটি গত বছরের ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হয়।

আবু মনসুর এতে লিখেছেন, তেহরিক-ই-তালেবান বেনজির ভুট্টোকে হত্যার জন্য দায়ী। এর আগে বেনজির হত্যাকাণ্ডের দায়ভার কেউ স্বীকার করেনি।

আবু মনসুর তার বইয়ে লিখেছেন, বেনজির ভুট্টোকে হত্যার জন্য বিলাল ওরফে সাইদ এবং ইকরামুল্লাহ নামে দুই জঙ্গিকে পাঠানো হয়েছিল। ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বরই বেনজিরকে হত্যার মিশন ঠিক করে দেয়া হয়েছিল তাদের। বিলালই প্রথম বেনজিরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। প্রথম গুলিটি বেনজিরের গলায় লেগেছিল। তারপরে বিলাল নিজের জ্যাকেটে রাখা ডিটোনেটরে বিস্ফোরণ ঘটায়। পরক্ষণই বেনজিরসহ তার ২৪ জন সমর্থক নিহত হন। বইয়ে তিনি আরও লিখেছেন, ইকরামুল্লাহ কোনোক্রমে সেখান থেকে বেঁচে ফিরেছিল।

সে এখনও বেঁচে রয়েছে। পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের মাকেন শহরের বাসিন্দা ইকরামুল্লাহ। বেনজির হত্যাকাণ্ডের জন্য তালেবান জঙ্গিদের দায়ী করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ। এমনকি বেনজির হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুই তালেবান সদস্যের কথোপকথনের অডিও প্রকাশ করে পারভেজ সরকার। কিন্তু সে সময় পারভেজ মোশাররফের ওই অভিযোগ অস্বীকার করে তালেবান গোষ্ঠী। উপর্যুপরি মোশাররফের ওপরই এ হত্যাকাণ্ডের দায় চাপানো হয়। আর এ হত্যা মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে মোশাররফকে অভিযুক্ত করা হয়। ফলে তিনি দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর বেনজিরের দশম মৃত্যুবার্ষিকীতেও মোশাররফের ওপর এ হত্যাকাণ্ডের দোষ চাপান বেনজিরের পুত্র ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সহকারী চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো।

বইটিতে বলা হয়, বেনজির ভুট্টোকে হত্যা চেষ্টায় ২০০৭ সালের অক্টোবরে চালানো হামলার জন্যও তালেবান গোষ্ঠী দায়ী। ওই সময় করাচিতে এক সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণে ১৪০ জন নিহত হন। ভাগ্যক্রমে সেবার বেঁচে গিয়েছিলেন বেনজির ভুট্টো।

বইটির লেখক আবু মনসুর বলেন, বেনজিরের ওপর করাচিতে হামলার পরও যথাযথ নিরাপত্তা প্রক্রিয়া গ্রহণ করেনি সরকার। এ জন্যই রাওয়ালপিণ্ডিতে হামলা চালানো আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়।

পিপিপির মুখপাত্র ফারহাতুল্লাহ বাবর বলেন, তালেবানদের এ দাবি দলটির সন্দেহকে জোরদার করেছে যে জঙ্গিরা ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য’ ব্যবহৃত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে চাই এ হত্যাকাণ্ডের পেছনের মূল হোতা কে ছিলেন। মাস্টারমাইন্ড কারা ছিল তাদের নাম প্রকাশ করা উচিত। তারাই জঙ্গিদের এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করেছে।’

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডিতে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় বেনজির ভুট্টোকে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com