রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
ফরিদপুর প্রতিনিধি: সাম্প্রতিক কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জিপিএ-৫ বিক্রি নিয়ে সমালোচিত হচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।আর এর সাথে জড়িত থাকার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা অদ্বৈত কুমার রায়কে ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে বদলি করা হয়েছে।এমন খবরে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে কলেজটির শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ খোঁদ ফরিদপুরবাসী।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বদলী আদেশ নিয়ে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে যোগ দিয়েছেন। আর এ খবর জানার পর তোলপাড় চলছে ফরিদপুরে। কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও ফরিদপুরের সাধারণ জনতা ও অভিভাবকগণ ফরিদপুরের একটি স্বনামধন্য কলেজে যোগদানের খবরে তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গত দু’দিন ধরে এ নিয়ে চলছে তুমুল নিন্দাবাদ। ফরিদপুরের শিক্ষার মান যাতে বিনষ্ট না হয় সেজন্য অবিলম্বে তারা রাজেন্দ্র কলেজ থেকে অদ্বৈত কুমার রায়কে বদলীর দাবি তুলেছেন।
এব্যাপারে রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোশাররফ আলী সাংবাদিকদের জানান, তিনি কলেজের শিক্ষার্থী ও ফরিদপুরের সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বিষয়টি জেনেছেন। তবে এখানে তার কোন হাত নেই। সিদ্ধান্তটা মন্ত্রণালয়ের। বিষয়টি তিনি ডিজি মহোদয়কে জানিয়েছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি প্রফেসর মাহাবুবুর রহমান বলেন, এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকারের সিদ্ধান্ত । তাই আপাতত এব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, ফরিদপুরে এসেই তিনি সরকারী দলের প্রভাবশালীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, ঢাকা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে থাকাকালে অদ্বৈত কুমার রায় একটি সিন্ডিকেট করে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ সহ ভিন্ন ভিন্ন সার্টিফিকেট বিক্রিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সচিত্র অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয় দেশের একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে। তাতে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অদ্বৈত রায় সহ চক্রের সদস্যদের কিভাবে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে জিপিএ-৫ সার্টিফিকেট পাওয়া যায় তার প্রমাণ বেরিয়ে আসে। তবে জিপিএ-৫ বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে অদ্বৈত কুমার এসব ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেন।