সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ : অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ২১তম বিশ্বকাপ ফুটবলের ‘সি’ গ্রুপে তৃতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো পেরুকে। শেষ ষোলোতে উঠতে না পারলেও জয় দিয়েই রাশিয়া বিশ্বকাপ মিশন শেষ করলো পেরু। তাদের সংগ্রহ ৩ খেলায় ৩ পয়েন্ট। শেষ ষোলোতে খেলার সম্ভাবনা থাকা অস্ট্রেলিয়া এ ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। তাই হার বরণ করে ৩ খেলায় ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে চতুর্থ হয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৭৮ সালের পর বিশ্বকাপে পেরুর এটাই প্রথম জয়।
এ ম্যাচটি পেরুর জন্য মোটেও গুরুত্ব বহন করেনি। কারণ, প্রথম দুই ম্যাচ হেরে এবারের আসর থেকে নিজেদের বিদায় আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিলো তারা। শেষ ষোলোতে যেতে হলে পেরুর বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে হতো, পাশাপাশি অন্য ম্যাচে ডেনমার্কের হারের প্রত্যাশা করতে হতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
কিন্তু ম্যাচের ১৮ মিনিটে গোল হজম করতে হয় শেষ ষোলোতে খেলার প্রত্যাশায় থাকা অস্ট্রেলিয়াকে। অজিদের রক্ষণদূর্গ ভেঙ্গে গোলের স্বাদ নিয়ে নেয় পেরু। মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে অস্ট্রেলিয়ার ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন পেরুর অধিনায়ক স্ট্রাইকার পাওলো গুয়েরোরো। ব্যাক পাস করে স্ট্রাইকার আন্দ্রে ক্যারিলোকে বল দেন গুয়েরোরো। বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি ক্যারিলো (১-০)। রাশিয়া বিশ্বকাপে এটি পেরুর প্রথম গোল। ১৯৮২ সালের পর বিশ্বকাপে খেলতে এসে গোলের আনন্দের নেচে ওঠে পেরুভিয়ানরা।
এই গোলের পর ব্যবধান দ্বিগুণ করার চেষ্টায় থাকে পেরু। কিন্তু ম্যাচে ফিরতে ঠিকই মরিয়া হয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। ২৭ মিনিটে ডান-প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ রচনা করেন ডিফেন্ডার ট্রেন্ট সেইন্সবারি। মিডফিল্ডার টমাস রোজিককে পাস দেন তিনি। বাঁ-প্রান্ত দিয়ে গোলমুখে শট নিয়েছিলেন রোজিক। তার শট রুখে দেন পেরুর গোলরক্ষক পেড্রো গালেসে।
৩৩ মিনিটে গোলের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায় পেরু। ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ান রামোসের পাস থেকে পাওয়া বল গোলমুখের বাইরে মারেন মিডফিল্ডার ইওশিমার ইওটুন। এরপর বাকী সময়েও আর গোল না হলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ করে পেরু। প্রথমার্ধের এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্বিগুণ করে ফেলে পেরু। প্রথম গোলের পেছনে বড় অবদান রাখা গুয়েরোরো গোল করেন।
৫০ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে একক প্রচেষ্টায় গোল করেন গুয়েরোরো। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও ভেঙ্গে পড়েনি অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে নতুন করে আক্রমণ করার চেষ্টা করে অজিরা। কিন্তু তাদের আক্রমণগুলো যুতসই ছিলো না। আবার যে আক্রমণটি থেকে ভালো কিছু হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিলো, সেটি ভেস্তে যায় পেরুর ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায়।
৬৬ মিনিটে মিডফিল্ডার এ্যারন মুই’এর ক্রস থেকে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে যান মধ্যমাঠের আগের খেলোয়াড় ম্যাথু লেচকি। কিন্তু লেচকিকে রুখে দেন পেরুর ডিফেন্ডার রামোস।
৮৩ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ফ্রি-কিক পায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মিডফিল্ডার মিলে জেডিনাক সেই ফ্রি-কিক থেকে আনন্দের উপলক্ষ তৈরি করতে পারেননি। ফলে ম্যাচের বাকী সময়েও নিজেদের ভাগ্য বদল করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তাই হার নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করতে হলো অজিদের।