রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়কের শিয়াইল্ল্যা পাহাড় এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে কক্সবাজার সদর থানার ওসি রণজিত কুমার বড়ুয়া জানান।
নিহতরা হলেন ওই এলাকার সুমন চৌধুরী (৩৩), তার স্ত্রী বেবী চৌধুরী (২৮) এবং তাদের মেয়ে অবন্তিকা চৌধুরী (৫) ও জ্যোতিকা চৌধুরী (৩)।
এদের মধ্যে সুমনের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের লাশ খাটে শোয়া অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, স্ত্রী ও সন্তানদের শ্বাসরোধে হত্যা পর সুমন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ওসি রণজিত বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ভেতর থেকে বন্ধ থাকা দরজা ভেঙে ওই পরিবারের চার সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়। একটি কক্ষের খাটের উপর শোয়া অবস্থায় স্ত্রী বেবী ও দুই মেয়ের লাশ এবং আরেকটি কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনের লাশ পাওয়া যায়।
তবে বেবী ও দুই মেয়ের ঘাড়ে হাত দিয়ে চাপ দেওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
তাদের প্রতিবেশী গোপাল দাশ বলেন, দুপুরে খাবার খেয়ে দরজা বন্ধ করে তাদের সবাইকে ঘুমাতে দেখেছি। পরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে ডাকাডাকি করার পরও তাদের কোনো সাড়া না পাওয়ায় স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর রাজবিহারী দাশকে খবর দেয়া হয়।
“কাউন্সিলর রাজবিহারী ঘটনাস্থলে এসে অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেন।”
আরেক প্রতিবেশী দুলাল দাশ বলেন, “স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কোনো দিন মনোমালিন্য বা ঝগড়া-ঝাটি দেখিনি। হাসি-খুশিতেই দেখেছি তাদের।
“বুধবার দুপুরেও ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে সুমনকে ভাত খাওয়াতে দেখেছি। সব ভাইয়েরা একই সীমানায় আলাদ বাসায় থাকলেও সুসম্পর্ক ছিল।”
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী ও সন্তানদের শ্বাসরোধে হত্যার পর গৃহকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। তারপরও পুলিশ তদন্ত করে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।