রবিবার, ১৩ Jul ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নেত্রকোনায় স্ত্রীকে হত্যার পর রশিতে ঝুলে স্বামীর আত্মহত্যা কুমিল্লা ইপিজেড মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে চলছে অফিসের কার্যক্রম আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা: ৯ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে” ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: ডিএমপি মির্জাপুরে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিজ বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী আটক কেরানীগঞ্জে রাজাবাড়ী এলাকার প্রধান সড়কে ময়লার স্তূপ, চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী শেরপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে একজনকে ১০ দিনের কারাদণ্ড বিয়ের ৩০ বছর পর একসঙ্গে দাখিল পাস করলেন স্বামী-স্ত্রী পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার কাছে একাধিক গাড়ির ভয়াবহ সংঘর্ষ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ২৫ কোটি টাকার অগ্নি বীমা দাবির চেক হস্তান্তর
নারীদের পুলিশে নেবে না থাইল্যান্ড

নারীদের পুলিশে নেবে না থাইল্যান্ড

অনলাইন ডেক্স: আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নারী ক্যাডেট ভর্তি না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাইল্যান্ডের রয়েল পুলিশ ক্যাডেট অ্যাকাডেমি। অনলাইনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। তবে কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।  পুলিশ বিভাগের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শত বছরের পুরনো এই পুলিশ অ্যাকাডেমিতে ২০০৯ সাল থেকে নারী ক্যাডেট নেয়া শুরু হয়েছিল।  এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ জন নারী সেখান থেকে পাস করে বের হয়েছেন।
নারী অধিকার কর্মীরা বলছেন, অ্যাকাডেমির সিদ্ধান্ত যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে যেতে থাই মেয়েদের নিরুৎসাহী করে তুলতে পারে।
এটিকে ‘থাইল্যান্ডে নারী নিরাপত্তা ও নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে এটি একটি পশ্চাৎপদ সিদ্ধান্ত’ বলে মনে করেন মানবাধিকার সংস্থা ‘ওমেন অ্যান্ড মেন প্রোগ্রেসিভ মুভমেন্ট’ এর পরিচালক জাদেত চাউয়িলাই।

তিনি বলেন, ‘কোনো নারী পুলিশ কর্মকর্তা না থাকলে পারিবারিক সহিংসতা, হয়রানি ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীরা হয়রানির ভয়ে পুলিশের কাছে যাওয়া কমিয়ে দেবে’।
জাতিসংঘের সংস্থা ‘ইউএন ওমেন’-এর গত বছরের এক প্রতিবেদন বলছে, থাইল্যান্ডে প্রায় ৯০ শতাংশের মতো ধর্ষণের ঘটনা অপ্রকাশিত থাকে।
জার্মানির ফাউন্ডেশন ‘ফ্রিডরিশ-এবার্ট-স্টিফটুং’-এর থাইল্যান্ড শাখার হিসেবে, থাইল্যান্ডে প্রতিবছর ২০ হাজারের বেশি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে খুব কম ঘটনাই প্রকাশ পায়।  সমস্যার সমাধানে জার্মান ঐ ফাউন্ডেশন থাই পুলিশে নারী সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল, যেন প্রতি থানায় একজন করে নারী পুলিশ নিয়োগ দেয়া যায়।
উল্লেখ্য, দেশটিতে বিদ্যমান ধর্ষণ মামলার আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার নারীর সাক্ষাৎকার নেয়ার কথা একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার।
এই বাস্তবতায় থাইল্যান্ডের আরেকটি মানবাধিকার সংস্থা ‘ফাউন্ডেশন ফর ওমেন’-এর পরিচালক উসা লার্ডসরিসুন্টাড বলেন, ‘এটা লিঙ্গ বৈষম্য।  এমনিতেই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সংখ্যা খুবই কম।  এই সিদ্ধান্তের কারণে তা আরও কমে যাবে’।
বিশ্বব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের মোট জনশক্তির ৪৫ শতাংশ নারী।  এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই হার কয়েকটি শীর্ষ দেশের মধ্যে একটি।  কিন্তু পুলিশ বিভাগে নারী কর্মীর সংখ্যা কম।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com