সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টানা দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। আগামী নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আবার থাকি আর না থাকি দেশের অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায়। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কারো কাছে হাত পেতে চলবে না। আজ শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে কেআইবির ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কেমন হবে সেই পরিকল্পনা করে আমরা ডেল্টা প্ল্যান করেছি। সেখানে কৃষি ও পানিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ব্লু-ইকোনমি শক্তিশালী করা ও সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্রও করা হয়েছে।বর্তমানে দেশের বাজারের আয়তন বেড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, মানুষ যা উৎপাদন করে সেটাই বাজারজাত করার সুযোগ পাচ্ছে। এতে সার্বিক অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। মানুষের সচ্ছলতাও বাড়ছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক। এ দেশের মানুষ ভিক্ষা করবে এটাই ছিল অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের উদ্দেশ্য। যাতে বিদেশ থেকে ভিক্ষা আনা যায়। আর যেন বাংলাদেশকে ভিক্ষার হাত না বাড়াতে হয় সে দিকে নজর রাখতে হবে।তিনি বলেন, জমির সীমাবদ্ধতার পরও পরিকল্পনার কারণে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ দেশ এগিয়ে যাক এটাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তিন দফা সারের দাম কমিয়েছে। বর্গাচাষিদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের উৎপাদিত পণ্য দিয়ে দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা বাড়াতে হবে। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। খাদ্য উৎপাদন করলেও হবে না মজুদ রাখতে হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, ‘কখন বিপদ আপদ আসে, বলা যায় না। একটা ফসলের ওপর নির্ভর করলে হবে না। বহুমুখী ফসল চাষাবাদের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিপদের সময় যাতে খাদ্য সরবরাহ করতে পারি, যে জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।’কৃষিক্ষেত্রকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দেয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প নিয়ে আমরা প্রত্যেকটা পরিবারকে উৎসাহিত করছি। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক করে দিয়েছি। কেউ ১০০ টাকা সঞ্চয় করলে ব্যাংক থেকে তাকে আরও ১০০ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে মানুষের সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি বাড়বে। একই সঙ্গে কোথাও এক টুকরো জমিও খালি রাখা যাবে না। ফসল ফলাতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিদ্যুৎ ও রাস্তা উন্নয়ন করার কারণে খাদ্য বাজারজাতকরণ বেড়েছে। কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি যাতে এক খণ্ড জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।কৃষি ও বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য নতুন করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং কেআইবি সভাপতি এএমএম সালেহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আইএফডিসি’র প্রেসিডেন্ট এবং সিইও স্কট জে অ্যাঞ্জেল এবং কেআইবি মহাসচিব মো. খায়রুল আলম প্রিন্সও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। কৃষিবিদ ড. মীর্জা আব্দুল জলিল, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মান্নান এবং কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাছিমকে কেআইবি’র পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা পদকে ভূষিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর হাতে এই পদক তুলে দেন।