শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন আর সহজ হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইউটিউব কোম্পানি তার পার্টনার প্রোগাম আপডেট করেছে বলে জানা গেছে। ফলে চ্যানেল বা ক্রিয়েটর যদি বেশি টাকা উপার্জন করতে চায় তাহলে তার সাবস্ক্রাইবার বেশি হতে হবে।
জানা গেছে, এবার থেকে সেইসব চ্যানেলই বিজ্ঞাপন পাবে যাদের কাছে কমপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে এবং ১২ মাসে কমপক্ষে ৪,০০০ ঘন্টা ভিডিও ওই চ্যানেলে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে কোম্পানি ন্যূনতম ভিউজ ১০,০০০ রেখেছিল, অর্থাৎ ১০,০০০ ভিউজ হলে বিজ্ঞাপন পাওয়া যেত। ইউটিউব তার ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারি শেষ তারিখ, এর মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪,০০০ঘন্টার ভিডিও না থাকলে বিজ্ঞাপন পাওয়া যাবে না।
লক্ষ লক্ষ মানুষ ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রচুর অর্থ উপার্জন করে থাকে। কিন্তু ইউটিউবের এই নতুন নিয়মের পর এবার থেকে ক্রিয়েটর-দের টাকা প্রতিদিন বেশ কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন ক্রিয়েটরদের নিজেদের চ্যানেল শুরু করতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হবে পারে।
ইউটিউবের মতে, কোম্পানি এই নিয়ম এই জন্য করেছেযাতে কোম্পানি ক্রিয়েটরদের ওপর নজর রাখতে পারে, যাতে সকলে গাইডলাইন অনুসরণ করে।
ইউটিউব থেকে আয়:
অনলাইনে আয়ের হাজার হাজার পদ্ধতির মধ্যে ইউটিউব থেকে আয় একটি জনপ্রিয় উপায়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব থেকেও আপনি আয় করতে পারবেন কইয়েকটি বিশেষ উপায়ে। ভিডিও তৈরি করে অনেকেই ইউটিউব থেকে আয় করছেন। তবে আপনি কেন পারবেন না। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের দেখাতে চেষ্টা করব কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়।
নিচে কয়েকটা পদ্ধতি আলোচনা করা হলো- আপনি ভিডিও তৈরীর জন্য দুইটি পথ অবলম্বন করতে পারেন। প্রথমটা হলো- ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও তৈরি করুন। আর আপনার যদি কোনও ভিডিও ক্যামেরা না থাকে তাহলে আপনি এক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। একটা বিষয়কে মাথায় রাখবেন, তা হলো- আপনাকে অবশ্যই মজাদার/ শিক্ষনীয় ভালো মানের ভিডিও তৈরি করতে হবে। যদি আপনি আপনার চ্যানেলটিকে টিউটোরিয়ালের নির্ভর করতে চান তবে আপনি এখানে ভিডিও টিউটোরিয়ালই আপলোড করেন অন্য কিছু নয়। কিংবা যদি ভিডিও গান বা নাটক এর চ্যানেল বানাতে চান তবে তাও বেশ জনপ্রিয় হতে পারে। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে আপনি যখন আপনার ভিডিও গুলি আপলোড দেবেন, তখন অবশ্যই আপনার কী-ওয়ার্ডগুলো দিয়ে দেবেন এবং সাথে সাথে আপনার ভিডিও এর ডেসক্রিপশনটাও দিয়ে দেবেন। এবার আপনার আপলোডকৃত ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার করুন। কারণ শুধু আপলোড করে দিলেই হবে না জনপ্রিয় হতে হলে আপনার ভিডিওগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন: ফেসবুক, টুইটার, গুগোল+ ইত্যাদি সমূহে শেয়ার করুন।
আপনার ভিডিওয়ের জন্য ব্যাকলিংক তৈরী করুন। একটা কথা ভাল করে মনে রাখবেন, YouTube ভিডিও পাবলিশিংও এক ধরনের ব্লগিং। তাই, আপনাকে ইউটউব, গুগোল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে ভাল অবস্থানে আসার জন্য অবশ্যই কিছু ব্যাকলিংক তৈরী করতে হবে। শুধু আপনার টপিক রিলেটেড সাইটে লিংক তৈরি করুন। আপনার প্রতিযোগীদের বা আপনার মত কাজ করছেন এরকম লোকদের অনুসরণ করুন। আপনি যদি সফল হতে চান, তাহলে আপনার প্রতিযোগীদেরকে অনুসরণ করুন। দেখুন তারা কিভাবে সফল হচ্ছেন। তাদের সফলতার ইতিহাসটা পড়ুন।
কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করবেন: আপনি যদি উন্নতমানের জনপ্রিয় ভিডিও তৈরি করতে পারেন, বা আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হয় তাহলে আপনি ইউটিউবের এ্যাডসেন্স পার্টনারশিপ থেকেই একটা অফার পেতে পারেন। ওরা আপনাকে পার্টনার করলে প্রতি মাসে একটা ভাল এমাউন্টের টাকা দেবে। এই লিংকে ক্লিক করে YouTube Partnership ( এখানে ক্লিক করুন https://www.youtube.com/yt/creators/creator-benefits.html) পার্টনারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি তারা আপনাকে রিজেক্ট করে তাহলে পুনরায় এপ্লাই করার জন্য আপনাকে আরো ২ মাস অপেক্ষা করতে হবে। আর যদি আপনার চ্যানেলকে তারা একসেপ্ট করে তাহলে তো গেল। কারণ, তারা আপনাকে প্রতি মাসে $200 দেবে।
এছাড়াও বিভিন্ন পণ্যের ভিডিও রিভিউ দিয়ে বা বিভিন্ন এ্যাডভারটাইজিং ভিডিওয়ের মাঝে দিয়ে আয় করা যায়। এছাড়া ভিডিওয়ের ডিসক্রিপশনে বিভিন্ন পণ্যের এফিলিয়েট লিংক দিয়ে দি্তে পারেন। কোনও পণ্য বিক্রয় হলেই আপনি টাকা পাবেন। তাছাড়া আপনি যদি সুন্দর একটা নামের বা ভালো কী-ওয়ার্ডের চ্যানেলের মালিক হন তবে সেটা পরে বিক্রি করে দিতে পারেন। অনেকেই আছে যারা টার্গেটেড কিওয়ার্ডের বা সুন্দর নামের চ্যানেল ক্রয় করে থাকেন। যদিও ইউটিউব অফিসিয়ালি এটা সাপোর্ট করে না কিন্তু তার পরেও হয়। তবে এটা সময় সাপেক্ষ। মোট কথা আপনি যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন জনপ্রিয় ভিডিও তৈরী করতে পারেন, তাহলে আপনিও ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন বেশ কয়েক হাজার হাজার টাকা।