বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্কঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সারাদেশে নির্বাচনের একটি সুবাতাস, আবহ, একটি অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচনমুখী আচরণ লক্ষ করা গেছে।আজ বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা করেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রার্থীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে এবং তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে তা প্রতিফলিত হচ্ছে। তারা অনবরত সভা-মিছিল করে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা তাদের ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। ফলে দেশব্যাপী নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আগামী ৩০ তারিখ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ভোট নির্বাচন কমিশনের কাছে আমানত। সেই আমানত বা ভোটের ফলাফল আপনাদের হাতে যাবে বিশ্লেষণ ও বিতরণ করার জন্য। সুতারাং বছরব্যাপী পরিশ্রমের ফসল আপনাদের হাতে চলে যাবে। এই ফসল যাতে কোনো রকম ভুলত্রুটির মাধ্যমে প্রার্থীদের অবস্থানের ব্যাঘাত না ঘটে। তাই সর্তক থাকতে হবে। আমাদের ওপর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, তা সর্তকতার সহিত পালন করতে হবে।সিইসি বলেন, আমাদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে যে সব কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা সক্ষমতার সঙ্গে, সার্থকতার সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে অবশ্যই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আমরা প্রশিক্ষণের এমন কোনো স্তর বাদ রাখিনি, যে কারণে মাঠপর্যায়ে গিয়ে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের কোনো ঘাটতি থাকে।তিনি বলেন, নতুন কতগুলো দিক নিয়ে এ বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ইভিএমের কথা বলা হয়েছে। অন্য সব প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আরেকটি নতুন যোগ হয়েছে, সেটি হলো প্রার্থীদের যে এজেন্ট কেন্দ্রে থাকবেন, সেই পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। আমরা তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেব। তারা তাদের এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেবে। এটার উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে নির্বাচন কার্যক্রমের যে নীতি, আচরণবিধি, নির্বাচন পরিচালনা বিধি, পোলিং বুথের ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক অবস্থা এসব ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পোলিং এজেন্টদের ধারণা দেওয়া।মাঠপর্যায়ে অভিযোগ জমা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সিইসি বলেন, আমাদের যেটা অসুবিধা হয়, সেটি হলো অভিযোগগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে কেন্দ্র থেকে চলে আসে। এ অভিযোগগুলো আমাদের কাছে না এসে, যদি তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্নিং অফিসার এবং ইলেকটোরাল ইনক্যুয়ারি কমিটির কাছে গেলে, তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান পাবেন। আমাদের কাছে পাঠালে তাদের জন্য একটা বাড়তি অসুবিধা হয়। সেখানে এসব পাঠানো জন্য অনুরোধ থাকবে সবার কাছে।এ সময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।