শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন করে ৪ হাজার ৩১২টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার সাড়ে ২১ হাজার শিক্ষক এমপিও পাচ্ছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এ সুখবরটি পেল ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে মানসম্মত শিক্ষার ব্যাপারেও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানান, আমাদের মূল লক্ষ্য- জাতীয় প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, দক্ষতা উন্নয়ন, বেকারত্ব নিরসন তথা সার্বিক উন্নতির মাধ্যমে দেশকে মধ্যম আয়ে পৌঁছানো। এটা করতে গিয়ে সরকার এবারের বাজেটে শিক্ষার জন্য বরাদ্দ করেছে। শিক্ষা বলতে শুধু পুঁথিগত শিক্ষা নয়। এ জন্য মানসম্মত ও কারিগরি শিক্ষার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, শুধু শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে না। এর বাইরে আরও ২৬টি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। শুধু দুটি মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকালে বরাদ্দ কমেছে বলে মনে হতে পারে। শিক্ষা নিয়ে কাজ করা সব মন্ত্রণালয়ের বাজেটের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে বরাদ্দ শতাংশের হিসাবে গত বছরের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
জানা যায়, সরকারি এক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ১৯৮৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারের জন্য দেশে বেসরকারি বিদ্যালয় ও ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা শুরু হয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয় ২৬ হাজার ১৯৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর আগে এগুলো ধাপে ধাপে জাতীয় বেতন স্কেলের অধীনে আসলেও একই সময়ে অভিন্ন আইনের বলে প্রতিষ্ঠা সত্ত্বেও উপেক্ষিত থাকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি (যা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত) মাদ্রাসা। মাত্র ৫০০ টাকা করে মাসোহারা পেয়ে আসছিলেন ইবতেদায়ির এসব শিক্ষকরা। এরপর ২০১০ সালে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রথমে মাসোহারা ১ হাজার টাকা করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় তা বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা করা হয়। পরবর্তীতে তৃতীয় দফায় ২৩শ’ টাকা করা হয় সহকারী শিক্ষকদের (মৌলভী) সম্মানী। অন্যদিকে ২৫শ’ টাকা করা হয় প্রধান শিক্ষকদের সম্মানী।