সোমবার, ০৭ Jul ২০২৫, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: নদীতে পশুর রক্ত ঢেলে পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছিলেন দায়িত্ব পাওয়া চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। বড় কাজের শুরুতে পশু উৎসর্গের মাধ্যমে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়, এড়ানো যায় বড় দুর্ঘটনা। এটি ছিলো তাদের বিশ্বাস।
২০১৫ সালের ২ মার্চ সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় মূল সেতুর পরীক্ষামূলক ভিত্তি স্থাপনের সময় নদীতে গরু ও খাসির রক্ত ঢালতে দেখা যায় চাইনিজ ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের। ভাসিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি মুরগিও।
সম্প্রতি সেই খবরটি আবার অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে ‘পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা প্রয়োজন’ এমন গুজব ছড়ায় বলে মনে করা হচ্ছে। এই গুজবের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ পরিচালনায় মানুষের মাথা লাগবে বলে একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা প্রকল্প কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এটা একটা গুজব। এর কোনো সত্যতা নেই। এমন অপপ্রচার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরণের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সেতুর কাজ শুরুর সময় কর্মরত চীনা নাগরিকরা তাদের প্রথাগত বিশ্বাস ও রীতি অনুযায়ী দুটি কালো ষাড়, দুটি খাসি এবং দুটি মোরগ পদ্মা তীরে জবাই করে। পরে পশুর রক্ত ঢেলে দেওয়া হয় পদ্মায়।
এছাড়া ষাড়ের সামনের দুটি পা এবং জবাই করা দুটি মুরগিও তারা ভাসিয়ে দেন। অবশ্য অবশিষ্ট মাংস প্রকল্পে কর্মরত চীনাদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
পশু উৎসর্গের পর ভিত্তি স্থাপন কাজের চারিদিকে একের পর এক আতশবাজি ফুটতে দেখা যায়। এতে অংশ নেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রায় সবাই।