মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
আদালত প্রতিবেদক: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের জামিন আবেদন আবারো নাকচ করা হয়ছে।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ মিজানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মিজানকে গ্রেপ্তারের পর গত ২ জুলাই এই আদালতে হাজির করা হলে তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। সেদিন জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৪ জুলাই মিজানের পক্ষে তার আইনজীবীরা পুনরায় জামিনের আবেদন করেন। আদালত আজ শুনানির দিন ধার্য করেন।
বুধবার ডিআইজি মিজানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী। জামিনের বিরোধিতা করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
এই মামলায় ডিআইজি মিজান ও তার ভাগ্নে এসআই মাহমুদুল হাসান কারাগারে আছেন। গত ১ জুলাই মিজান হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। অন্যদিকে ভাগ্নে মাহমুদুলকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। ৪ জুলাই মাহমুদুল জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।
ওই মামলার বর্ণিত সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানকালে দুদক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে নতুন করে আলোচনায় আসেন পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
মিজান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক সংবাদপাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার কথা প্রকাশ করা ও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর গত ২৫ জুন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ঘুষ লেনদেনের মামলায়ও মিজানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।