রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় অবস্থিত কমিউনিটি হাসপাতাল কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচারের এক রোগীর পেটের ভেতর গজ-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করে দিয়েছেন এক চিকিৎসক। কমল কান্তি দাস নামের এই চিকিৎসক ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার। এ বিষয়ে ওই চিকিৎসক সাফাই গেয়েছেন, ভুল হতেই পারে।
জানা গেছে, গত ৮ মে এই হাসপাতালে অপারেশন (সিজার) করা হয় রায়পুর মহল্লার নুরাল শেখের মেয়ে ও সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের চাঁদপাল গ্রামের শহীদুলের স্ত্রী নুপুর। সিজারিয়ানের মাধ্যমে নুপুর এক কন্যা সন্তানের জম্ম দেন। কিন্তু অপারেশন শেষে অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেন গৃহবধূ নুপুর। এক পর্যায়ে অন্য এক চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন তিনি। একাধিক বার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে যে পেটের ভেতরে কিছু একটা রয়ে গেছে। পরে শহরের বেসরকারি আভিসিনা হাসপাতালে অপারেশন করে নুপুরের পেট থেকে গজ-ব্যান্ডেজ বের করা হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম।
গৃহবধূ নুপুর বলেন, ‘ওই কমিউনিটি হাসপাতালের চিকিৎসক আমার স্বাভাবিক জীবন নষ্ট করে দিয়েছে।’ নুপুরের বাবা নুরাল শেখ বলেন, ‘কমিউনিটি হাসপাতালে আমার মেয়ের সিজার করেন ডা. কমল কান্তি দাস। মেয়ের সিজারের বিল করেন ১৩ হাজার টাকা। আমি কর্তৃপক্ষের হাত-পা ধরে আট হাজার টাকা পরিশোধ করি। তারপরও আমার মেয়ের এই হাল করেছে চিকিৎসক। আমি এর বিচার চাই।’
ডা. কোমল কান্তি দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘কাজ করতে গেলে একটু ভুল হতেই পারে। শহরের বড় বড় প্রভাবশালী লোক বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।’
সিভিন সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার কাছে এখনো এ ধরনের অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’