আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আকাশে যখন আগ্নেয়গিরির লাভার ধোঁয়া আর বাতাসে উড়ছে ছাইভষ্ম, এর মধ্যেই বিয়ের অনুষ্ঠান সারলেন ফিলিপাইনের দম্পত্তি। আর বিয়ের অতিথিরাও স্বাক্ষী হলো এক বিস্ময়ের।
ফিলিপাইনের ক্যাভিট প্রদেশে গত রোববার এই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ‘তাল’ এর অগ্ন্যুৎপাতে যখন আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ঘুরছে আর বাতাসে ছাই উড়ছে তার মধ্যেই চিনো এবং কাট পালোমার একে অপরকে কুর্নিশ করলেন।
বিয়ের ফটোগ্রাফার রেনডল্ফ ইভান বলেন, বিয়ের পরিবেশটি বেশ নির্জন আর নিরিবিলি হয়ে পড়েছিল। অনুষ্ঠানস্থল থেকে ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছিল।
ইভান বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠান শুরুর এক বা দুই ঘণ্টা আগেও আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং অনুষ্ঠান চলাকালীন পুরো সময়টাতেই ছাই উড়ে পড়তে দেখা যায়।
ম্যানিলার দক্ষিণে তাল দ্বীপ থেকে এরই মধ্যে ২৪ হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে দূরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অন্য সময় হলে এই স্থানটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়।
বিয়ের অনুষ্ঠানে ধোঁয়ায় ঘেরা আকাশের ছবি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা তৈরি করেছে। বিশেষ করে কালো ধোঁয়ার নিচে বর এবং কনের বিয়ের অনুষ্ঠানের যে আলো জ্বলছে তা যেন প্রকৃতির বিরুদ্ধে মানুষের আবার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টাকেই নির্দেশ করছে।
বিয়ের অনুষ্ঠানটিকে অসাধারণ প্রাকৃতিক ব্যাকড্রপ যেমন উল্লেখ করেছেন, তেমনি ইভান বলেছেন, তবে অতিরিক্ত ছাইয়ের কারণে নতুন দম্পত্তিও কিছুটা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তারা স্বাভাবিকই ছিলেন এবং বিয়ের স্বাভাবিক বিষয়গুলোর পালন করেছেন।
তবে সবচেয়ে বিস্ময়ের কথাটি শেষে বলেছেন ইভান। তিনি বলেন, আমরা পরে জানতে পেরেছি আসলে আরো ৮ বছর আগেই এই দম্পত্তির বিয়ে হয়েছিল এবং তাদের দুজন সন্তানও রয়েছেন। তাই বিবাহ বার্ষিকীর এই দিনটি তারা স্মরণীয় করতেই এই আয়োজন করেছিল। তাল আগ্নেয়গিরির ধ্বংসাত্মক কোন যজ্ঞই তাদেরকে পিছু হটাতে পারেনি।